০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

গত ৫ ই জুন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগকর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মিছিলে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় কলেজপাড়া খান টাউয়ারের সামনে সবার সম্মুখে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে ইজাজকে গুলি করে হত্যা করে কোমড়ে অস্ত্র গুঁজে স্হান ত্যাগ করছেন ঘটনার হোতা ছাত্রলীগকর্মী ( বর্তমানে বহিস্কৃত) হাসান আল ফারাবী জয়। প্রকাশ্যে মিছিলে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় জয়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২ টায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান,বিশেষ প্রযুক্তির সহযোগীতায় অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে শনিবার ( ৮জুন ) ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ার কুতুবপুর গ্রাম থেকে আসামী জয়কে গ্রেফতার করা হয়।এ সময় তার দেয়া স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর এলাকার ভাটপাড়ার একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতেই মূলত ইজাজকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।জানা যায়,কলেজপাড়ার খোকা ও ফারাবীর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মেনে নিতো না ইজাজ ও তার লোকজন। এনিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয় । ভোটের দিন শহরেরই একজন থেকে জয়কে একটি অস্ত্র সংগ্রহ করে দেয় জালাল হোসেন খোকা। সেই অস্ত্রটি তিনি জয়ের হাতে তুলে দেন। বিকেলে খোকার সাথে তর্কাতর্কির সময় সেই অস্ত্র দিয়েই ইজাজকে গুলি করে জয়। জয় মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন খোকার সমর্থক। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়ের সাথে ছাত্রলীগের কর্মী ইজাজের এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে ভোটকেন্দ্রে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল চলাকালে আবার বিরোধ হলে ইজাজকে গুলি করে জয়। এদিকে জয়কে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এসে ভীড় জমান ইজাজের বোন জামাই রুবেল সহ পরিবারের আরো অনেক স্বজনেরা।এ সময় তারা ক্ষোভ দেখান ও খোকাসহ অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ট্যাগ :

নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত : ০৮:৪০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

গত ৫ ই জুন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগকর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মিছিলে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় কলেজপাড়া খান টাউয়ারের সামনে সবার সম্মুখে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে ইজাজকে গুলি করে হত্যা করে কোমড়ে অস্ত্র গুঁজে স্হান ত্যাগ করছেন ঘটনার হোতা ছাত্রলীগকর্মী ( বর্তমানে বহিস্কৃত) হাসান আল ফারাবী জয়। প্রকাশ্যে মিছিলে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় জয়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২ টায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান,বিশেষ প্রযুক্তির সহযোগীতায় অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে শনিবার ( ৮জুন ) ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ার কুতুবপুর গ্রাম থেকে আসামী জয়কে গ্রেফতার করা হয়।এ সময় তার দেয়া স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর এলাকার ভাটপাড়ার একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতেই মূলত ইজাজকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।জানা যায়,কলেজপাড়ার খোকা ও ফারাবীর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মেনে নিতো না ইজাজ ও তার লোকজন। এনিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয় । ভোটের দিন শহরেরই একজন থেকে জয়কে একটি অস্ত্র সংগ্রহ করে দেয় জালাল হোসেন খোকা। সেই অস্ত্রটি তিনি জয়ের হাতে তুলে দেন। বিকেলে খোকার সাথে তর্কাতর্কির সময় সেই অস্ত্র দিয়েই ইজাজকে গুলি করে জয়। জয় মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন খোকার সমর্থক। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়ের সাথে ছাত্রলীগের কর্মী ইজাজের এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে ভোটকেন্দ্রে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল চলাকালে আবার বিরোধ হলে ইজাজকে গুলি করে জয়। এদিকে জয়কে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এসে ভীড় জমান ইজাজের বোন জামাই রুবেল সহ পরিবারের আরো অনেক স্বজনেরা।এ সময় তারা ক্ষোভ দেখান ও খোকাসহ অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।