০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হওয়া ভারতের জন্য গর্বের: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন বিশ্বস্ত সহযোগী হওয়া ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নয়াদিল্লীর কার্যালয় থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।

নরেন্দ্র মোদী বাংলায় বলেন, ‘আজ এই শুভক্ষণে দুই দেশের জনগণকে আমার অভিনন্দন জানাই। আজ আমাদের মৈত্রীর বন্ধন আরো দৃঢ় হলো।’

তিনি উভয় দেশের জনগণকে দুর্গাপূজা, কালীপূজা এবং দিওয়ালীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার কল্যাণ কামনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ও তাঁর দেশের সোয়াশো কোটি জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, আপনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুনরায় সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, উন্নয়ন এবং যোগাযোগ (ডেভেলপমেন্ট এন্ড কানেকটিভিটি) এ দু’টি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিশেষ করে পশ্চিম বাংলাসহ আমাদের দু’দেশের মাঝে শতাব্দী প্রাচীন যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে তা আরো সুদৃঢ় করার জন্য আজ আমি আরো কয়েক পা আগে এগিয়ে গেলাম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কর্মকান্ডে সহযোগিতার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আপনার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি পুনরায় বঙ্গবন্ধুর কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দু’দেশের মৈত্রী এবং বন্ধনের গতি দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও মোদী আশা প্রকাশ করেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজী তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মৈত্রী, দুই দেশের সংস্কৃতি, দুই দেশের ঐক্য, দুই দেশের সম্প্রীতি, দুই দেশের সংহতি ও ভাষার বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।

আজকের দিনটিকে দু’দেশের জন্যই ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, বাংলাদেশে দুটি রেল সেতু উদ্বোধন এবং বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা উভয় দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমল থেকেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো এবং সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বন্ধু।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবিধাজনক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

মোদী বলেন, ‘আমি শুরুতেই অনুধাবন করেছি যে প্রতিবেশী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক স্থাপন বাঞ্ছনীয়। প্রতিবেশী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে কথা বলতে হবে- আলোচনা করতে হবে। প্রয়োজনে পারস্পারিক সাক্ষাৎ ও সফর বিনিময়ও হতে হবে। এ জন্য আমাদের কোন প্রটোকলে আবদ্ধ থাকলে চলবে না।’

ট্যাগ :

বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হওয়া ভারতের জন্য গর্বের: মোদি

প্রকাশিত : ০৮:৩৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন বিশ্বস্ত সহযোগী হওয়া ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নয়াদিল্লীর কার্যালয় থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।

নরেন্দ্র মোদী বাংলায় বলেন, ‘আজ এই শুভক্ষণে দুই দেশের জনগণকে আমার অভিনন্দন জানাই। আজ আমাদের মৈত্রীর বন্ধন আরো দৃঢ় হলো।’

তিনি উভয় দেশের জনগণকে দুর্গাপূজা, কালীপূজা এবং দিওয়ালীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার কল্যাণ কামনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ও তাঁর দেশের সোয়াশো কোটি জনগণের পক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, আপনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুনরায় সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, উন্নয়ন এবং যোগাযোগ (ডেভেলপমেন্ট এন্ড কানেকটিভিটি) এ দু’টি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিশেষ করে পশ্চিম বাংলাসহ আমাদের দু’দেশের মাঝে শতাব্দী প্রাচীন যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে তা আরো সুদৃঢ় করার জন্য আজ আমি আরো কয়েক পা আগে এগিয়ে গেলাম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কর্মকান্ডে সহযোগিতার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আপনার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি পুনরায় বঙ্গবন্ধুর কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দু’দেশের মৈত্রী এবং বন্ধনের গতি দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও মোদী আশা প্রকাশ করেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজী তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মৈত্রী, দুই দেশের সংস্কৃতি, দুই দেশের ঐক্য, দুই দেশের সম্প্রীতি, দুই দেশের সংহতি ও ভাষার বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।

আজকের দিনটিকে দু’দেশের জন্যই ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, বাংলাদেশে দুটি রেল সেতু উদ্বোধন এবং বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা উভয় দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমল থেকেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো এবং সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বন্ধু।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবিধাজনক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

মোদী বলেন, ‘আমি শুরুতেই অনুধাবন করেছি যে প্রতিবেশী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক স্থাপন বাঞ্ছনীয়। প্রতিবেশী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে কথা বলতে হবে- আলোচনা করতে হবে। প্রয়োজনে পারস্পারিক সাক্ষাৎ ও সফর বিনিময়ও হতে হবে। এ জন্য আমাদের কোন প্রটোকলে আবদ্ধ থাকলে চলবে না।’