০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পদত্যাগ করবেন না মুগাবে!

ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের গৃহবন্দী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। রবিবার জানু-পিএফ পার্টি দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তার পদত্যাগের ঘোষণা শোনার জন্য উদগ্রিব ছিলেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু চারদিক থেকে প্রবল চাপের মধ্যেও তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিনই জাতীর উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে, পদত্যাগ করার ঘোষণা দেবার বদলে উল্টো আসন্ন কংগ্রেসে নিজের জানু-পিএফ পার্টিকে নেতৃত্ব দেবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।

টেলিভিশনে দেওয়া ৩০ মিনিটের সরাসরি ভাষণে মুগাবে বলেন, আসামী মাসে তার পার্টির কংগ্রেসে তিনি সভাপতিত্ব করবেন। তিনি বলেন, এখন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যে কংগ্রেস আছে আমি সেখানে সভাপতিত্ব করবো। এটি অবশ্যই কারো দ্বারা পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া উচিত নয়। জনগণের চোখে এর ফলাফলকে আপসের মত করে দেখানো ঠিক হবে না।

নিজের পার্টির কংগ্রেসে নেতৃত্ব দেবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেও, রবিবারই তাকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে জানু-পিএফ পার্টি। একই সঙ্গে তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে অর্থাৎ আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। পদত্যাগ না করলে, তাকে ইমপিচ বা অভিশংসনেরও হুমকি দিয়েছে দলটি।

সেনারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকেই মুগাবের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে এসেছে। তবে, এরপরও তিনি টেলিভিশনের ভাষণে পদত্যাগ না করার ঘোষণায় দেওয়ায় মুগাবের সাবেক মিত্ররা নিন্দা জানিয়েছেন। এই ঘোষণার প্রতিবাদে বিরোধীরা আবারো রাজপথে নেমে আসবে বলে তারা মনে করছেন।

৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মুগাবের উত্তরাধিকার ভাবা হতো ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে অপসারণ করে মুগাবে।

সূত্র জানায়, নিজের স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নানগাগবাকে অপসারণ করা হয়। এরপরই জানু-পিএফ পার্টিতে ভাঙন দেখা যায়। এই সুযোগে প্রেসিডেন্ট মুগাবেকে অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেবাবাহিনী।

রবিবার দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে মুগাবেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে দীর্ঘ তিন দশকের এই শাসককে সরে যাওয়ার দাবিতে রাজধানী হারারেসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর ইন্ধন ছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

ট্যাগ :

পদত্যাগ করবেন না মুগাবে!

প্রকাশিত : ০৯:৫৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের গৃহবন্দী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। রবিবার জানু-পিএফ পার্টি দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তার পদত্যাগের ঘোষণা শোনার জন্য উদগ্রিব ছিলেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু চারদিক থেকে প্রবল চাপের মধ্যেও তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিনই জাতীর উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে, পদত্যাগ করার ঘোষণা দেবার বদলে উল্টো আসন্ন কংগ্রেসে নিজের জানু-পিএফ পার্টিকে নেতৃত্ব দেবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।

টেলিভিশনে দেওয়া ৩০ মিনিটের সরাসরি ভাষণে মুগাবে বলেন, আসামী মাসে তার পার্টির কংগ্রেসে তিনি সভাপতিত্ব করবেন। তিনি বলেন, এখন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যে কংগ্রেস আছে আমি সেখানে সভাপতিত্ব করবো। এটি অবশ্যই কারো দ্বারা পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া উচিত নয়। জনগণের চোখে এর ফলাফলকে আপসের মত করে দেখানো ঠিক হবে না।

নিজের পার্টির কংগ্রেসে নেতৃত্ব দেবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেও, রবিবারই তাকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে জানু-পিএফ পার্টি। একই সঙ্গে তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে অর্থাৎ আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। পদত্যাগ না করলে, তাকে ইমপিচ বা অভিশংসনেরও হুমকি দিয়েছে দলটি।

সেনারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকেই মুগাবের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে এসেছে। তবে, এরপরও তিনি টেলিভিশনের ভাষণে পদত্যাগ না করার ঘোষণায় দেওয়ায় মুগাবের সাবেক মিত্ররা নিন্দা জানিয়েছেন। এই ঘোষণার প্রতিবাদে বিরোধীরা আবারো রাজপথে নেমে আসবে বলে তারা মনে করছেন।

৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মুগাবের উত্তরাধিকার ভাবা হতো ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে অপসারণ করে মুগাবে।

সূত্র জানায়, নিজের স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নানগাগবাকে অপসারণ করা হয়। এরপরই জানু-পিএফ পার্টিতে ভাঙন দেখা যায়। এই সুযোগে প্রেসিডেন্ট মুগাবেকে অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেবাবাহিনী।

রবিবার দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে মুগাবেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে দীর্ঘ তিন দশকের এই শাসককে সরে যাওয়ার দাবিতে রাজধানী হারারেসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর ইন্ধন ছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।