ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়া মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পূর্ণতা পাবে না।’
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে কী ঘটেছে, কী ঘটেনি, সেটিই তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশ তো এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে না যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলার মতো পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে।’
স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের তথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি ভারত। আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তৎকালীন ভারত সরকার আমাদের সহযোগিতা করেছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকার, তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। ’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান, বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তিতে ভারতের অবদানের কথা বিবেচনা করেই মুজিববর্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মোদির আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিএনপি, তাদের মূল রাজনীতি হচ্ছে ভারতবিরোধিতা। ভারত বিরোধিতাই তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। একারণেই মির্জা ফখরুল অবান্তর কথাগুলো বলছেন। ’
‘বাংলাদেশে মোদির আগমনের বিরোধিতা করছেন শিক্ষার্থীরা।’ এই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সবসময় ভারতবিরোধিতার রাজনীতি করেন এবং সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাদের পক্ষ থেকে এগুলো করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী শান্তিপ্রিয়।’ ফলে যারা মোদির বিরোধিতা করছেন, তাদের কথা হালে পানি পাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ