র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর একটি চায়ের দোকানের ভেতরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপানো ও গলা কাটা অবস্থায় দুই জন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভিকটিম রফিকুল ইসলামের ছেলে বাদী হয়ে গুলশান থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২১, তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল আসামি ১। রুমন (২৭), পিতা- আফজাল হোসেন, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেঃ কর্ণের মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান,গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম রফিক এর চায়ের দোকানে ১ মাস যাবৎ ভিকটিম সাব্বির চাকুরী করছিল। ভিকটিম সাব্বির চাকুরী ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি জানালে ভিকটিম রফিক দোকানের জন্য নতুন কর্মচারী খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে ৭ দিন পূর্বে তার পূর্বপরিচিত একজনের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত রুমন ভিকটিম রফিক এর দোকানে কর্মচারী হিসেবে থাকা-খাওয়াসহ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ শুরু করে।
বেতন অল্প হওয়ায় ও দোকানের কাজকর্ম নিয়ে ভিকটিম রফিকের সাথে গ্রেফতারকৃত রুমনের বেশ কয়েকবার বাকবিতন্ডা হয়। এ প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত রুমনের মধ্যে ভিকটিম রফিকের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গ্রেফতারকৃত রুমন ভিকটিম রফিককে উচিত শিক্ষা দিয়ে দোকানের মূল্যবান মালামাল ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। উক্ত হত্যাকান্ডে সাথে আরও ২ জন জড়িত থাকার বিষয়ে গ্রেফতারকৃত রুমন তথ্য প্রদান করে, যে বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ ভিকটিম রফিক, সাব্বির এবং গ্রেফতারকৃত রুমন দোকানের কার্যক্রম শেষে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে।
তিনি আরো জানান,পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাত আনুমানিক ২. ঘটিকার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে ভিকটিম রফিক এর মাথায়, গলায় ও শরীরের আঘাত করা হয়। ভিকটিম সাব্বির দেখে ফেললে তাকেও মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান পুজা উপলক্ষে র্যাব পক্ষ থেকে সকল ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে ও জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস