০২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

চান্দিনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খাইরুল আলম সাধন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খোকন কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডিবি পুলিশ ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহত ডাকাত খোকন (৪৫) বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত টহল পরিচালনা করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয়। সেখানে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাধন হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি খোকন রয়েছে।

ওই সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চান্দিনা থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে মহাসড়কের ছয়ঘড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এসময় পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।

এতে ডিবি পুলিশের কনস্টেবল মোল্লা আব্দুস সবুর ও সুমন আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোকনকে আটক করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ঘটনাস্থল হতে একটি দেশী পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ,পাচঁ রাউন্ড ফায়ারকৃত গুলির খোসা, দুইটি রামদা, একটি ছুরি একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। অত্র ঘটনায় পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইএম

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

চান্দিনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

প্রকাশিত : ০৪:২১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খাইরুল আলম সাধন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খোকন কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডিবি পুলিশ ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহত ডাকাত খোকন (৪৫) বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত টহল পরিচালনা করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয়। সেখানে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাধন হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি খোকন রয়েছে।

ওই সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চান্দিনা থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে মহাসড়কের ছয়ঘড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এসময় পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।

এতে ডিবি পুলিশের কনস্টেবল মোল্লা আব্দুস সবুর ও সুমন আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোকনকে আটক করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ঘটনাস্থল হতে একটি দেশী পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ,পাচঁ রাউন্ড ফায়ারকৃত গুলির খোসা, দুইটি রামদা, একটি ছুরি একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। অত্র ঘটনায় পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইএম