কোভিড-১৯কারণে অনলাইনে ফলাফল প্রকাশের পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস স্কুলে ক্যাম্পাসে দেখা না গেলও অনলাইনের দৌলতে ছাত্রীদের মাঝে উল্লাস বহিঃপ্রকাশ করছে।
শিক্ষার্থী তো বটেই, অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষও আনন্দে মেতেছিল। কেউ আনন্দে আবেগাপ্লুত, কেউ অশ্র“সিক্ত।
এমন সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থী, আনন্দে আত্মহারা তাদের মা-বাবা, শিক্ষক।
বলছিলাম ২০২০সালের এসএসসি পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জনকারী হাটহাজারী উপজেলার পৌর সদরে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ হাটহাজারী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের কথা।
এই স্কুলের২ ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৮৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ জন।
পাশের হার ৯৬.৯৭শতাংশ পাস বিশ্লেষণে দেখা যায়,১৯৬২ সালে স্থাপিত এই প্রতিস্টানে (৫৮ বছর) ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জিত হয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর পর শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশংসার মেতেছেন অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
ছিল স্যোসাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড়। স্কুল প্রধান মো:আলী আহম্মদ বলেন, এমন সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।
কঠোর অনুশীলন, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, এবং সর্বোপরি শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের ধারাবাহিক পরিশ্রমে এই ফলাফল।
তিনি এ সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
তিনি আরো বলেন, ২৯২জনের ছাত্রীর মধ্য ৩জনের অনুপস্থিত ছিল। তা না হলে আমাদের পাশের হার ৯৮% উপরের থাকত।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো:নাজিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায় এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় এমন সাফল্য এসেছে ।
আমি সকলকে অভিনন্দন ও কৃজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামীতেও তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সকল সদস্যের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উন্নত পাঠদানে শিক্ষকরা সবসময় সচেতন।
শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা সজাগ থাকি।
নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে না দেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মনে স্কুল কমিটির উপর ক্ষোভ ছিল। তাদের সেই ক্ষোভটা আজ আনন্দে পরিণিত হয়েছে।
এদিকে বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য মো: জাহেদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, আমাদের সন্মেলিত প্রচেস্টার আজকে এই ফলাফল। আমি অত্র প্রতিষ্টানের অভিবাবক সদস্য হয়ে নিজেকে গর্ববোধ মনে করছি।