০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

চিকিৎসায় ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদারের দাবি ক্যাবের

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নয় এমন সব রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে নানা ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল নির্ধারন করে দেন।

কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারী-বেসরকারী সকল হাসপাতালে সকল রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন।

তারপরও কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট আছে কিনা তা প্রদর্শন করতে না পারলে রোগী ভর্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রতিদিন কোন না কোন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।

এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ারের মা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়লসিস করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

আবার বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই তদারকি কমিটি করলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাধারন রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ সোমবার (১লা জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন, বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগন ক্ষুদ্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও এ সমস্ত তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, সে বিষয়টিও এখন আলোচনার বিষয়।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন সেবা মূল্য আদায়, স্বাস্থ্য সেবাগুলিতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সমস্যায় সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলির নিত্যদিনকার চিত্র হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহনে মন্ত্রনালয় সফল হযনি।

জেলা-উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে একটি অকার্যকর উপদেষ্টা কমিটি থাকলেও বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলির সেবার মান ও রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে অধিদপ্তর ছাড়া স্থানীয় ভাবে কোন তদারকি নাই।

ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা চলছে অভিভাবক হীন ও জবাবদিহীতা ছাড়া। আবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে তদারকি কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। ফলে সরকারী কর্মকর্তা ও ক্লিনিক মালিকরাই মিলে তাদের মতো করেই রোগীদের ভোগান্তি তদারকি করবেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করে জন অংশগ্রহনমুলক স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেবা কর্মকান্ডকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনতে হবে।

সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা দেশীয় সরকারী হাসপাতালে সেবা গ্রহন বাধ্যতামুলক করতে হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

চিকিৎসায় ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদারের দাবি ক্যাবের

প্রকাশিত : ০৬:২৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নয় এমন সব রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে নানা ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল নির্ধারন করে দেন।

কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারী-বেসরকারী সকল হাসপাতালে সকল রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন।

তারপরও কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট আছে কিনা তা প্রদর্শন করতে না পারলে রোগী ভর্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রতিদিন কোন না কোন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।

এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ারের মা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়লসিস করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

আবার বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই তদারকি কমিটি করলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাধারন রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ সোমবার (১লা জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন, বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগন ক্ষুদ্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও এ সমস্ত তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, সে বিষয়টিও এখন আলোচনার বিষয়।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন সেবা মূল্য আদায়, স্বাস্থ্য সেবাগুলিতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সমস্যায় সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলির নিত্যদিনকার চিত্র হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহনে মন্ত্রনালয় সফল হযনি।

জেলা-উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে একটি অকার্যকর উপদেষ্টা কমিটি থাকলেও বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলির সেবার মান ও রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে অধিদপ্তর ছাড়া স্থানীয় ভাবে কোন তদারকি নাই।

ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা চলছে অভিভাবক হীন ও জবাবদিহীতা ছাড়া। আবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে তদারকি কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। ফলে সরকারী কর্মকর্তা ও ক্লিনিক মালিকরাই মিলে তাদের মতো করেই রোগীদের ভোগান্তি তদারকি করবেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করে জন অংশগ্রহনমুলক স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেবা কর্মকান্ডকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনতে হবে।

সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা দেশীয় সরকারী হাসপাতালে সেবা গ্রহন বাধ্যতামুলক করতে হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক