০২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কেমন হবে করোনাকালের বাজেট?

প্রথমত মহামারি কোভিড-১৯ রোধ। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি বাজেটে করোনার মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষ যাতে করোনার চিকিৎসা পায়, সেজন্য শহরগুলোর পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

দ্বিতীয়ত করোনায় ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে থাকা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা খাতে। রুজি-রোজগার করতে অক্ষম কিংবা অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষাখাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য আনা সব ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশের স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। সম্পদের ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে। দেশের টাকা যাতে বিদেশে পাচার না হয়, এ টাকা যাতে দেশেই বিনিয়োগ হয়, সেজন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে যাতে যৌবন ফিরে আসে, সেই লক্ষ্যে কোনো রকম হয়রানি ও প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কৃষি, শিল্প-কারখানা এবং ই-কমার্সের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন। এর আগেও করোনার ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

১১ জুন বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। বাজেট বক্তব্যের খসড়ায় উল্লেখ আছে, তিনি বাজেট বক্তব্য শেষ করবেন মহান ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী দিয়ে। অর্থমন্ত্রী কোরআনের বৃহত্তম সুরা আল-বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করবেন। এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে এবং রোগীকে সুসংবাদ দাও।’

অর্থমন্ত্রী বলবেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তার সৃষ্টির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করবেন না। তাই তিনি শিগগির আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, মহামারির এ প্রলয় দ্রুত থেমে যাক। সালামুন আলাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

 

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কেমন হবে করোনাকালের বাজেট?

প্রকাশিত : ০১:০৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

প্রথমত মহামারি কোভিড-১৯ রোধ। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি বাজেটে করোনার মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষ যাতে করোনার চিকিৎসা পায়, সেজন্য শহরগুলোর পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

দ্বিতীয়ত করোনায় ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে থাকা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা খাতে। রুজি-রোজগার করতে অক্ষম কিংবা অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষাখাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য আনা সব ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশের স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। সম্পদের ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে। দেশের টাকা যাতে বিদেশে পাচার না হয়, এ টাকা যাতে দেশেই বিনিয়োগ হয়, সেজন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে যাতে যৌবন ফিরে আসে, সেই লক্ষ্যে কোনো রকম হয়রানি ও প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কৃষি, শিল্প-কারখানা এবং ই-কমার্সের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন। এর আগেও করোনার ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

১১ জুন বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। বাজেট বক্তব্যের খসড়ায় উল্লেখ আছে, তিনি বাজেট বক্তব্য শেষ করবেন মহান ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী দিয়ে। অর্থমন্ত্রী কোরআনের বৃহত্তম সুরা আল-বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করবেন। এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে এবং রোগীকে সুসংবাদ দাও।’

অর্থমন্ত্রী বলবেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তার সৃষ্টির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করবেন না। তাই তিনি শিগগির আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, মহামারির এ প্রলয় দ্রুত থেমে যাক। সালামুন আলাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর