০২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

গঙ্গার বুকে চিরকালের মতো মিশে গেলেন সুশান্ত সিং

চোখের জলে গঙ্গায় সুশান্তের অস্থি ভাসালেন পরিবারের সদস্যরা ।ছবি: সৃংগীত

গঙ্গার জলে চিরকালের মতো মিশে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। গঙ্গার বুকে অভিনেতার অস্থি ভাসিয়ে দিলেন বাবা কেকে সিং। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে একমাত্র ছেলের শেষ চিহ্ন ভাসান তিনি।

বুধবার (১৭ জুন) মুম্বাই থেকে ছেলের অস্থিকলস নিয়ে পাটনা ফেরেন কেকে সিং ও সুশান্তের পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে ছোট্ট একটি নৌকায় সুশান্তের পরিবারের কয়েকজন আনুষ্ঠানিকতা সারতে চলে যান গঙ্গার মাঝখানে। এ সময় বাবা ছাড়াও ছিলেন সুশান্তের দুই বোন মিতু ও শ্বেতা।

পারিবারিক ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই অস্থি বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক সব নিয়মও মেনে চলছে সুশান্তের পরিবার।

সোমবার (১৫ জুন) মুম্বাইয়ে ভিলেপার্লের পবন হংস মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সুশান্তের। তার মুখাগ্নি করেন বাবা কেকে সিং। হাজির ছিলেন দুই দিদি, কাকা এবং বলিউডের হাতে গোনা বন্ধুরা।

সুশান্তের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন একতা কাপুর, রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, কৃতি শ্যানন, বিবেক ওবেরয়, রণবীর শোরের মতো কয়েকজন বলিউড তারকা। অবশ্য তাদের অনেকেই শ্মশানের ভেতরে ঢুকতে পারেননি।

রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত।

সুশান্ত সিং রাজপুতের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ছিল ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকটি তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। তবে জন্মের বেশ কয়েক বছর পর পরিবারের সঙ্গে তিনি দিল্লিতে চলে যান। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেসময় থেকেই থিয়েটারে অভিনয় চর্চা শুরু করেন তিনি। নাচের তালিমও নেন। তবে শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারেননি সুশান্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

গঙ্গার বুকে চিরকালের মতো মিশে গেলেন সুশান্ত সিং

প্রকাশিত : ১১:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

গঙ্গার জলে চিরকালের মতো মিশে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। গঙ্গার বুকে অভিনেতার অস্থি ভাসিয়ে দিলেন বাবা কেকে সিং। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে একমাত্র ছেলের শেষ চিহ্ন ভাসান তিনি।

বুধবার (১৭ জুন) মুম্বাই থেকে ছেলের অস্থিকলস নিয়ে পাটনা ফেরেন কেকে সিং ও সুশান্তের পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে ছোট্ট একটি নৌকায় সুশান্তের পরিবারের কয়েকজন আনুষ্ঠানিকতা সারতে চলে যান গঙ্গার মাঝখানে। এ সময় বাবা ছাড়াও ছিলেন সুশান্তের দুই বোন মিতু ও শ্বেতা।

পারিবারিক ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই অস্থি বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক সব নিয়মও মেনে চলছে সুশান্তের পরিবার।

সোমবার (১৫ জুন) মুম্বাইয়ে ভিলেপার্লের পবন হংস মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সুশান্তের। তার মুখাগ্নি করেন বাবা কেকে সিং। হাজির ছিলেন দুই দিদি, কাকা এবং বলিউডের হাতে গোনা বন্ধুরা।

সুশান্তের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন একতা কাপুর, রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, কৃতি শ্যানন, বিবেক ওবেরয়, রণবীর শোরের মতো কয়েকজন বলিউড তারকা। অবশ্য তাদের অনেকেই শ্মশানের ভেতরে ঢুকতে পারেননি।

রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত।

সুশান্ত সিং রাজপুতের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ছিল ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকটি তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। তবে জন্মের বেশ কয়েক বছর পর পরিবারের সঙ্গে তিনি দিল্লিতে চলে যান। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেসময় থেকেই থিয়েটারে অভিনয় চর্চা শুরু করেন তিনি। নাচের তালিমও নেন। তবে শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারেননি সুশান্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার