পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, সুনামগঞ্জের জন্য গত দুই সপ্তাহ আগে একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে যেখানে শহর রক্ষা বাধসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডেল্টা প্লেন ঘোষণা করেছেন সেখানে হাওর এলাকাকে আলাদা একটি হটস্পট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেখানে সবচেয়ে আয়তনে দিক থেকে বিশাল হাওর এলাকা সুনামগঞ্জ জেলাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং হাওর এলাকারগুলোর সমস্যা পুরোপুরি সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ গাছের চারা রোপনের কার্যক্রম হিসেবে সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য যাদুঘর প্রাঙ্গনে দুইটি গাছের চারা রোপন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া হাওর এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও প্রকল্প নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের পর্যটন এলাকাগুলোর উন্নয়নের ব্যাপারে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন এলাকাগুলো উন্নয়নের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে তার মধ্যে নারী পুরুষ আলাদা টয়লেট, খাবারের জন্য রেস্টুরেন্ট থাকবে।

হাওরে যখন মানুষ প্রবেশ করবে তখন প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট এসব নিয়ে যেনো প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যই এগুলো তৈরি করা হবে। এছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে আমরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা বন্ধ করে দিবো সেখানে দাঁড় টানা নৌকায় ব্যবহার করবে এবং এগুলো নিয়ে পর্যটকরা ঘুরবে। এরকম বিশেষ নৌকা তৈরির জন্যও একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা প্রমুখ।