০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

৯৮ ভাগ আবেদনকারী পেয়েছেন ফসল ঋণ

করোনা পরিস্থিতিতে মন্দা মোকাবেলায় ফসলের ওপর স্বল্প সুদের ঋণের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ আবেদনকারীই ঋণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সরকার এই ঋণ প্রণোদনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কৃষক পর্যায়ে এ ঋণের সুদ ৪ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য জমা দিলেই বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে এক শতাংশ ভর্তুকির অর্থ ব্যাংকগুলোকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংকগুলো জানায়, করোনার সময়ে ফসলের ওপর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা। আর উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ জন কৃষক ও কৃষি খামার। শুধু আগস্ট মাসে বিতরণ হয়েছে ২৭৬ কোটি টাকা এবং উপকৃত হয়েছে ৪৩ হাজার ২১২ জন কৃষক ও কৃষি ফার্ম। ফসল উৎপাদনের জন্য মোট এক লাখ ১২ হাজার ৪৫৯টি আবেদন ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে জমা হয়েছিল। আবেদন গৃহীত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ১৭১টি। আবেদন গ্রহণের হার ৯৭ দশমিক ৯২।

করোনাকালীন বৈশ্বি ক মহামারীর কারণে পুরো দেশ লকডাউনে চলে গেলে দেশের উৎপাদন, বিপণন, আমদানি, রপ্তানি, যোগযোগসহ সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক চলাচল, আভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক আয়। এ অবস্থায় সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে প্রণোদনা ঘোষণা করে। খাদ্য উৎপাদন ও কৃষিকে সচল রাখার জন্য এ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়।

দেশে বার্ষিক ২২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পশু পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ফসল ফলাতে ভিন্ন একটি উপখাতে বিতরণের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। এ ঋণের কৃষক পর্যায়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৪ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

৯৮ ভাগ আবেদনকারী পেয়েছেন ফসল ঋণ

প্রকাশিত : ০৩:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে মন্দা মোকাবেলায় ফসলের ওপর স্বল্প সুদের ঋণের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ আবেদনকারীই ঋণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সরকার এই ঋণ প্রণোদনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কৃষক পর্যায়ে এ ঋণের সুদ ৪ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য জমা দিলেই বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে এক শতাংশ ভর্তুকির অর্থ ব্যাংকগুলোকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংকগুলো জানায়, করোনার সময়ে ফসলের ওপর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা। আর উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬ জন কৃষক ও কৃষি খামার। শুধু আগস্ট মাসে বিতরণ হয়েছে ২৭৬ কোটি টাকা এবং উপকৃত হয়েছে ৪৩ হাজার ২১২ জন কৃষক ও কৃষি ফার্ম। ফসল উৎপাদনের জন্য মোট এক লাখ ১২ হাজার ৪৫৯টি আবেদন ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে জমা হয়েছিল। আবেদন গৃহীত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ১৭১টি। আবেদন গ্রহণের হার ৯৭ দশমিক ৯২।

করোনাকালীন বৈশ্বি ক মহামারীর কারণে পুরো দেশ লকডাউনে চলে গেলে দেশের উৎপাদন, বিপণন, আমদানি, রপ্তানি, যোগযোগসহ সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক চলাচল, আভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক আয়। এ অবস্থায় সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে প্রণোদনা ঘোষণা করে। খাদ্য উৎপাদন ও কৃষিকে সচল রাখার জন্য এ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়।

দেশে বার্ষিক ২২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পশু পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থ থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ফসল ফলাতে ভিন্ন একটি উপখাতে বিতরণের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। এ ঋণের কৃষক পর্যায়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৪ শতাংশ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর