০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!

আসছে ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পরাজয় স্বীকার করেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বরং পরিস্থিতি পাল্টাতে এখন তার দৃষ্টি ৬ জানুয়ারির দিকে। ইলেক্টোরাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভোট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গ্রহণ করার সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে এই দিনে।

যদিও আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে এসব সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতায় কখনও বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। তবে এবারের পরিস্থিতি ট্রাম্পের কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে উঠেছে।

এদিকে, ক্ষমতা ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৫ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন সাবেক আইনপ্রণেতা। দু’জন ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একজন তার নির্বাচনী প্রচারণার সাবেক সহকারী।

নিজের দীর্ঘ তালিকা থেকে অপরাধ ও দণ্ড থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সবদিক খোলা রাখছেন ট্রাম্প। ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আরও চার বছরের জন্য থেকে যাওয়ার কথাও ট্রাম্প চালু রাখছেন জোরালোভাবে।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তা ও ফেইসবুক পোস্টে নিজের রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের ওপর চড়াও হয়েছেন ট্রাম্প।

বলেছেন, ‘রিপাবলিকান পার্টিকে ভুলে গেলে চলবে না যে তার সাহায্য ছাড়া সিনেটে দলের আটটি আসন কম হতো। মার্কিন সিনেটে এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার কৃতিত্ব তার নিজের বলেই দাবি করছেন ট্রাম্প।’

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আছেন। এদিন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত ট্রাম্প সংবিধানের ক্ষমতাবলে যেকোনও অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন, দণ্ড মওকুফ করতে পারেন বা দণ্ড কমিয়ে আনতে পারেন। মার্কিন সংবিধান প্রেসিডেন্টকে এ ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দিয়েছে। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!

প্রকাশিত : ১১:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

আসছে ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পরাজয় স্বীকার করেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বরং পরিস্থিতি পাল্টাতে এখন তার দৃষ্টি ৬ জানুয়ারির দিকে। ইলেক্টোরাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভোট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গ্রহণ করার সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে এই দিনে।

যদিও আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে এসব সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতায় কখনও বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। তবে এবারের পরিস্থিতি ট্রাম্পের কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে উঠেছে।

এদিকে, ক্ষমতা ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৫ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন সাবেক আইনপ্রণেতা। দু’জন ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একজন তার নির্বাচনী প্রচারণার সাবেক সহকারী।

নিজের দীর্ঘ তালিকা থেকে অপরাধ ও দণ্ড থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সবদিক খোলা রাখছেন ট্রাম্প। ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আরও চার বছরের জন্য থেকে যাওয়ার কথাও ট্রাম্প চালু রাখছেন জোরালোভাবে।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তা ও ফেইসবুক পোস্টে নিজের রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের ওপর চড়াও হয়েছেন ট্রাম্প।

বলেছেন, ‘রিপাবলিকান পার্টিকে ভুলে গেলে চলবে না যে তার সাহায্য ছাড়া সিনেটে দলের আটটি আসন কম হতো। মার্কিন সিনেটে এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার কৃতিত্ব তার নিজের বলেই দাবি করছেন ট্রাম্প।’

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আছেন। এদিন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত ট্রাম্প সংবিধানের ক্ষমতাবলে যেকোনও অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন, দণ্ড মওকুফ করতে পারেন বা দণ্ড কমিয়ে আনতে পারেন। মার্কিন সংবিধান প্রেসিডেন্টকে এ ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা দিয়েছে। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার