০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ’র বাধা কাটল

১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী ১৫০০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফলের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে আর বাঁধা নেই।

সোমবার (৩১ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আজ আদালত অবমাননার আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিটে এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূইয়া।

এর আগে গত ২৩ মে এই আদেশের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য পিছিয়ে আজ ৩১ মে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত। তবে, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। গত ২৩ মে হাইকোর্টের গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওইদিন এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশের জন্য বেঁধে দেয়া ৭ কার্যদিবসের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সুপারিশের অগ্রগতি হলফনামা আকারে জমা দেয়ার বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।

২৩ মে নির্ধারিত দিনে এনটিআরসিএ’র আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা নিয়োগের সুপারিশ করা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনের প্রক্রিয়া করছেন। কিন্তু রিটকারী আইনজীবী এই দাবির বিরোধিতা করেন। পরে শুনানি ও আদেশের জন্য ৩১ মে পরবর্তী দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য সাতদিন সময় দেন। একই সঙ্গে গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে এনটিআরসিএ’র জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম এসময় পর্যন্ত স্থগিত রাখারও আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানি হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ও বাস্তবায়ন করতে বলেছিলেন আদালত। আদালতের ওই সব আদেশ বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ’র বাধা কাটল

প্রকাশিত : ১২:৫০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী ১৫০০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফলের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে আর বাঁধা নেই।

সোমবার (৩১ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আজ আদালত অবমাননার আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিটে এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূইয়া।

এর আগে গত ২৩ মে এই আদেশের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য পিছিয়ে আজ ৩১ মে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত। তবে, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। গত ২৩ মে হাইকোর্টের গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওইদিন এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশের জন্য বেঁধে দেয়া ৭ কার্যদিবসের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সুপারিশের অগ্রগতি হলফনামা আকারে জমা দেয়ার বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।

২৩ মে নির্ধারিত দিনে এনটিআরসিএ’র আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা নিয়োগের সুপারিশ করা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনের প্রক্রিয়া করছেন। কিন্তু রিটকারী আইনজীবী এই দাবির বিরোধিতা করেন। পরে শুনানি ও আদেশের জন্য ৩১ মে পরবর্তী দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য সাতদিন সময় দেন। একই সঙ্গে গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে এনটিআরসিএ’র জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম এসময় পর্যন্ত স্থগিত রাখারও আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানি হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ও বাস্তবায়ন করতে বলেছিলেন আদালত। আদালতের ওই সব আদেশ বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার