১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

মির্জাপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিফাত মিয়া (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার একটি ক্ষেত থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। সে মির্জাপুর পৌর এলাকার আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র। লাশ উদ্ধারকারী মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের শরীরের বেশ কিছু স্থানে শারীরিক আঘাত ও নৃশসংসতার আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিফাতের হত্যাকান্ডের  সাথে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।

সিফাতের সহপাঠী ও বন্ধু নুরুল আমীন বলে, ‘সোমবার সন্ধ্যায় সিফাতের সাথে আমি বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খেতে যাই। চটপটি খাওয়া অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবক এসে সিফাতের সঙ্গে কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও সে ফিরে না আসায় সেখান থেকে আমি চলে আসি।’

সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, ‘১০-১২ দিন আগে আমার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে মাতাব্বররা জুতা পেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই ছেলে আত্মগোপনে চলে গেছে। আমার ছেলেকে ওই যুবকই হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

মির্জাপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৩:০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিফাত মিয়া (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার একটি ক্ষেত থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। সে মির্জাপুর পৌর এলাকার আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র। লাশ উদ্ধারকারী মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের শরীরের বেশ কিছু স্থানে শারীরিক আঘাত ও নৃশসংসতার আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিফাতের হত্যাকান্ডের  সাথে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।

সিফাতের সহপাঠী ও বন্ধু নুরুল আমীন বলে, ‘সোমবার সন্ধ্যায় সিফাতের সাথে আমি বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খেতে যাই। চটপটি খাওয়া অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবক এসে সিফাতের সঙ্গে কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও সে ফিরে না আসায় সেখান থেকে আমি চলে আসি।’

সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, ‘১০-১২ দিন আগে আমার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে মাতাব্বররা জুতা পেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই ছেলে আত্মগোপনে চলে গেছে। আমার ছেলেকে ওই যুবকই হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব