০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

জামালপুরে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

জামালপুরে চলমান আমন মৌসুমে লক্ষ মাত্রার ধান উৎপাদন নিয়ে ভীষণ শঙ্কিত কৃষক

জামালপুরে চলমান আমন মৌসুমে লক্ষ মাত্রার ধান উৎপাদন নিয়ে ভীষণ শঙ্কিত কৃষক । এর প্রধান কারন হিসেবে কৃষকরা বলছেন দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি । বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব পরেছে কৃষিতে। পাশাপাশি সব ধরনের সারের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট দেখা দিয়েছে । প্রয়োজনের তুলনায় সার কম পাওয়া এবং সঠিক সময়ে তা প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা ।

জামালপুর জেলায় আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন । এর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন । প্রায় ৫০ ভাগ বরাদ্দ ঘাটতি রয়েছে । তবে বাকী ৫০ ভাগ সার পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জাকিয়া সুলতানা । এ দিকে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নে সার সঙ্কটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৃষকদের সার দেওয়া হচ্ছে । কৃষকদের অভিযোগ তারা সার পাচ্ছেন না । যেটুকু পাচ্ছেন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তারা বলছেন এখন সার প্রয়োগের সঠিক সময় এই সময়ে ক্ষেতে সার দিতে না পারলে আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে । সার সঙ্কটের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, সারের কোন সঙ্কট নেই ।

গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় সবার একসাথে সারের প্রয়োজন হয়েছে । এর সাথে কোন একটি সুবিধাবাদী মহল সার সঙ্কটের অপপ্রচার চালাচ্ছে । তবে আমরা সুশৃঙ্খল ভাবে সার দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে এই ব্যবস্থা করেছি। কৃষকরা অনেক আক্ষেপের সুরে বলেন, ধান চাষ করে আমাদের এখন আর লাভ হয় না । কৃষি নির্ভর প্রতিটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে । যেমন জমি চাষ, সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিক ইত্যাদি । প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ প্রায় তেরশ টাকা। ভরা মৌসুমে ধানের দাম থাকে সর্বোচ্চ এগারোশ টাকা । কৃষকদের প্রতি মণ ধান বিক্রিতে লস হচ্ছে দুইশ টাকা। কৃষকরা আরও বলেন আমরা নিজেদের জমি চাষ না করলে খাব কি? শুধুমাত্র নিজের ও পরিবারের সদস্যদের শ্রমের মূল্যটুকু কাজে লাগছে । বাংলাদেশে প্রধানত দুটি বোরো ও আমন মৌসুমে বেশির ভাগ ধান উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এই অবস্থা চলমান থাকলে আমাদের দেশে খাদ্য ঘাটতি থেকে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে । এবারের মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । এ পর্যন্ত ৯১ শতাংশ জমিতে চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

জামালপুরে আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

প্রকাশিত : ০২:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

জামালপুরে চলমান আমন মৌসুমে লক্ষ মাত্রার ধান উৎপাদন নিয়ে ভীষণ শঙ্কিত কৃষক । এর প্রধান কারন হিসেবে কৃষকরা বলছেন দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি । বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব পরেছে কৃষিতে। পাশাপাশি সব ধরনের সারের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট দেখা দিয়েছে । প্রয়োজনের তুলনায় সার কম পাওয়া এবং সঠিক সময়ে তা প্রয়োগ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা ।

জামালপুর জেলায় আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন । এর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন । প্রায় ৫০ ভাগ বরাদ্দ ঘাটতি রয়েছে । তবে বাকী ৫০ ভাগ সার পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জাকিয়া সুলতানা । এ দিকে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নে সার সঙ্কটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৃষকদের সার দেওয়া হচ্ছে । কৃষকদের অভিযোগ তারা সার পাচ্ছেন না । যেটুকু পাচ্ছেন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তারা বলছেন এখন সার প্রয়োগের সঠিক সময় এই সময়ে ক্ষেতে সার দিতে না পারলে আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে । সার সঙ্কটের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, সারের কোন সঙ্কট নেই ।

গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় সবার একসাথে সারের প্রয়োজন হয়েছে । এর সাথে কোন একটি সুবিধাবাদী মহল সার সঙ্কটের অপপ্রচার চালাচ্ছে । তবে আমরা সুশৃঙ্খল ভাবে সার দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে এই ব্যবস্থা করেছি। কৃষকরা অনেক আক্ষেপের সুরে বলেন, ধান চাষ করে আমাদের এখন আর লাভ হয় না । কৃষি নির্ভর প্রতিটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে । যেমন জমি চাষ, সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিক ইত্যাদি । প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ প্রায় তেরশ টাকা। ভরা মৌসুমে ধানের দাম থাকে সর্বোচ্চ এগারোশ টাকা । কৃষকদের প্রতি মণ ধান বিক্রিতে লস হচ্ছে দুইশ টাকা। কৃষকরা আরও বলেন আমরা নিজেদের জমি চাষ না করলে খাব কি? শুধুমাত্র নিজের ও পরিবারের সদস্যদের শ্রমের মূল্যটুকু কাজে লাগছে । বাংলাদেশে প্রধানত দুটি বোরো ও আমন মৌসুমে বেশির ভাগ ধান উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এই অবস্থা চলমান থাকলে আমাদের দেশে খাদ্য ঘাটতি থেকে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে । এবারের মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । এ পর্যন্ত ৯১ শতাংশ জমিতে চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব