০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারত

ভারতের বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ । বাংলাদেশ ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে জ্বালানি আমদানি করতে চায়। বুধবার. ৪ জানুয়ারি ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজ কুমার সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সফলভাবে দুটি পৃথক বৈঠক করেছি, দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলতি বছরের মধ্যে নিউমেরিগার তেল পাইপলাইন উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত থেকে স্বল্প পরিসরে তেল আমদানি করছি। ভারত থেকে খুলনা পর্যন্ত এলএনজি পাইপলাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এইচ এনার্জি এই পাইপলাইন বসাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশে জ্বালানি বাজার খুলতে যাচ্ছি এবং খুচরা পর্যায় তেল আমদানি ও বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চাই। এই বিষয়ে ভারত দীর্ঘদিন ধরে খোলা বাজারের জ্বালানি প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে এবং আমরা তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাই, তারা (ভারতীয় মন্ত্রীরা) আমাদের সঙ্গে তাদের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ভারতীয় মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন যাতে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে স্থিতিশীল অবস্থান বজায় রাখতে পারে। আমরা ত্রিপুরা এবং ভেড়ামারা সাবস্টেশনের মাধ্যমে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। এবং আমরা শিগগিরই বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার প্লান্ট থেকে আরও এক হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পক্ষ ভুটান এবং নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে আমাদের সহযোগিতা করবে। তাদের নবায়নযোগ্য খাত সম্প্রসারণের জন্য নেপালে বিনিয়োগের জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের আলোচনায় বিষয় আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মোস্তাফিজুর রহমান যোগ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা জেলায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারত

প্রকাশিত : ১০:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

ভারতের বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ । বাংলাদেশ ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে জ্বালানি আমদানি করতে চায়। বুধবার. ৪ জানুয়ারি ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজ কুমার সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সফলভাবে দুটি পৃথক বৈঠক করেছি, দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলতি বছরের মধ্যে নিউমেরিগার তেল পাইপলাইন উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত থেকে স্বল্প পরিসরে তেল আমদানি করছি। ভারত থেকে খুলনা পর্যন্ত এলএনজি পাইপলাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এইচ এনার্জি এই পাইপলাইন বসাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশে জ্বালানি বাজার খুলতে যাচ্ছি এবং খুচরা পর্যায় তেল আমদানি ও বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চাই। এই বিষয়ে ভারত দীর্ঘদিন ধরে খোলা বাজারের জ্বালানি প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে এবং আমরা তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাই, তারা (ভারতীয় মন্ত্রীরা) আমাদের সঙ্গে তাদের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ভারতীয় মন্ত্রীরা বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন যাতে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে স্থিতিশীল অবস্থান বজায় রাখতে পারে। আমরা ত্রিপুরা এবং ভেড়ামারা সাবস্টেশনের মাধ্যমে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। এবং আমরা শিগগিরই বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার প্লান্ট থেকে আরও এক হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌর বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পক্ষ ভুটান এবং নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে আমাদের সহযোগিতা করবে। তাদের নবায়নযোগ্য খাত সম্প্রসারণের জন্য নেপালে বিনিয়োগের জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের আলোচনায় বিষয় আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মোস্তাফিজুর রহমান যোগ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা জেলায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব