০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বাসে আগুন দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে গ্রেপ্তার যুবদলের ৪ নেতা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বাসটিতে আগুন লাগানো হয়। ডিবির ওয়ারী বিভাগ বলছে, বাসটিতে আগুন দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি মো. দুলু (৪৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮), মো. আব্বাস আলী (৩২) ও মো. আবদুল লতিফ বিপ্লব (৩৩)।

আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদলের চারজন নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে তাঁরা আগুন লাগান। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই যুবদলের নেতা, এটা তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁদের পদপদবিও আছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, বাসে আগুন লাগানোর পর গ্রেপ্তার চারজন তাঁদের নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব যুবদলের রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অন্য নেতাদের ছবি পাঠিয়েছেন।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘কর্মীদের প্রতি বিএনপি নেতাদের নির্দেশ হলো বাসে আগুন লাগাতে হবে এবং সেটা তাঁদের বড় ভাইদের পাঠাতে হবে। সেই নেতারা আবার তাঁদের বড় ভাইদের কাছে পাঠান। যাঁরা গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা আরও কোথায় কোথায় আগুন লাগিয়েছেন, তা আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তাঁদের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তা জেনে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এত কিছুর পরও কেন বাসে আগুন দেওয়া আটকানো যাচ্ছে না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করা বা একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বিষয়টা জনমনে তেমন প্রভাব পড়ে না। সাময়িকভাবে হয়তো একটা প্রভাব পড়ে। এই কারণেই দেখা যাচ্ছে, অবরোধেও ঢাকা শহরে যানজট। অবরোধ যে আছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে এসব ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিএনপিকে বিস্ফোরক দ্রব্য কারা দিচ্ছে এ বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে যুবদলের নেতা আবু সাইদ মিন্টুকে গ্রেপ্তার করার পর আমাদের কাছে এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে যুবদলের নেতারাই এসব ককটেল বানাচ্ছেন। কুমিল্লা থেকে এবং সীতাকুণ্ড থেকে তাঁরা এসব ককটেলের উপাদান নিয়ে আসেন।

আর এসবের জন্য টাকা দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। আর যুবদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এসব ককটেল বানান। এরপর তাঁরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো সরবরাহ করেন। এসবের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাঁদের সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বাসে আগুন দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে গ্রেপ্তার যুবদলের ৪ নেতা

প্রকাশিত : ০৩:১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বাসটিতে আগুন লাগানো হয়। ডিবির ওয়ারী বিভাগ বলছে, বাসটিতে আগুন দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি মো. দুলু (৪৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮), মো. আব্বাস আলী (৩২) ও মো. আবদুল লতিফ বিপ্লব (৩৩)।

আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদলের চারজন নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে তাঁরা আগুন লাগান। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই যুবদলের নেতা, এটা তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁদের পদপদবিও আছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, বাসে আগুন লাগানোর পর গ্রেপ্তার চারজন তাঁদের নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব যুবদলের রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অন্য নেতাদের ছবি পাঠিয়েছেন।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘কর্মীদের প্রতি বিএনপি নেতাদের নির্দেশ হলো বাসে আগুন লাগাতে হবে এবং সেটা তাঁদের বড় ভাইদের পাঠাতে হবে। সেই নেতারা আবার তাঁদের বড় ভাইদের কাছে পাঠান। যাঁরা গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা আরও কোথায় কোথায় আগুন লাগিয়েছেন, তা আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তাঁদের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তা জেনে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এত কিছুর পরও কেন বাসে আগুন দেওয়া আটকানো যাচ্ছে না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করা বা একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বিষয়টা জনমনে তেমন প্রভাব পড়ে না। সাময়িকভাবে হয়তো একটা প্রভাব পড়ে। এই কারণেই দেখা যাচ্ছে, অবরোধেও ঢাকা শহরে যানজট। অবরোধ যে আছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে এসব ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিএনপিকে বিস্ফোরক দ্রব্য কারা দিচ্ছে এ বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে যুবদলের নেতা আবু সাইদ মিন্টুকে গ্রেপ্তার করার পর আমাদের কাছে এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে যুবদলের নেতারাই এসব ককটেল বানাচ্ছেন। কুমিল্লা থেকে এবং সীতাকুণ্ড থেকে তাঁরা এসব ককটেলের উপাদান নিয়ে আসেন।

আর এসবের জন্য টাকা দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। আর যুবদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এসব ককটেল বানান। এরপর তাঁরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো সরবরাহ করেন। এসবের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাঁদের সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি