০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মী সহ মুরাদনগর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। নেতাকর্মীদের দাবী আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় দেশের বাইরে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ৫বারের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অপেক্ষায় রয়েছে মুরাদনগরের আপামর জনসাধারন। এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তার কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন এইনেতাকে দেশে আসতে দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৯টি মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ই ফেব্রæয়ারী কায়কোবাদের মায়ের মৃত্যু হলে মায়ের জানায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই মুরাদনগরের আপামর জনসাধারনের মুখে শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে আসছেন তাদের প্রিয় নেতা কায়কোবাদ। জানা যায়, কায়কোবাদ জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ১৯৮৬ সালে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বার এবং ১৯৮৮ সালে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে, তিনি ওই সময়ের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নিকট পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদের তিনি জাতীয় পার্টি থেকে আবারও তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে ২০০১ ও ২০০৮ সালে ৮ম ও ৯ম জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থ ও পঞ্চম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে কায়কোবাদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হন। কুমিল্লা জেলার ভৌগলিক অবস্থানে সবচেয়ে বড় উপজেলা হলো মুরাদনগর। ৩৪০বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বৃহৎ উপজেলাটি ২টি থানায় ২২টি ইউনিয়নে ৩১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসন। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পূর্নই ভিন্ন। সাড়ে ছয় লক্ষ জনগনের বিশাল এ জনপদের সাধারন মানুষকে স্বার্থহীন ভালবাসা দিয়ে প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসেন কায়কোবাদ। ২০১১সালে কায়কোবাদ অসুস্থ হয়ে দেশের বাহিরে চিকিৎসারত থাকাকালীন সময়ে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মামলায় আসামী করা হয় তাকে। এরপর থেকে কায়কোবাদ দেশের বাহিওে অবস্থান করছেন। দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন নেতাকর্মীর সাথে। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কায়কোবাদ দাদাকে মুরাদনগরের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ষরযন্ত্র করে দাদার জনপ্রিয়তা দমিয়ে রাখা যায়নি। দাদা মুরাদনগরের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার এক নাম। মুরাদনগরবাসী অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রিয় নেতাকে আবার নতুন করে বরণ করতে। আশা করছি চলতি মাসেই দাদা আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত : ০৮:২০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মী সহ মুরাদনগর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। নেতাকর্মীদের দাবী আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় দেশের বাইরে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ৫বারের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অপেক্ষায় রয়েছে মুরাদনগরের আপামর জনসাধারন। এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তার কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন এইনেতাকে দেশে আসতে দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৯টি মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ই ফেব্রæয়ারী কায়কোবাদের মায়ের মৃত্যু হলে মায়ের জানায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই মুরাদনগরের আপামর জনসাধারনের মুখে শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে আসছেন তাদের প্রিয় নেতা কায়কোবাদ। জানা যায়, কায়কোবাদ জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ১৯৮৬ সালে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বার এবং ১৯৮৮ সালে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে, তিনি ওই সময়ের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নিকট পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদের তিনি জাতীয় পার্টি থেকে আবারও তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে ২০০১ ও ২০০৮ সালে ৮ম ও ৯ম জাতীয় নির্বাচনে চতুর্থ ও পঞ্চম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে কায়কোবাদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হন। কুমিল্লা জেলার ভৌগলিক অবস্থানে সবচেয়ে বড় উপজেলা হলো মুরাদনগর। ৩৪০বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বৃহৎ উপজেলাটি ২টি থানায় ২২টি ইউনিয়নে ৩১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসন। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পূর্নই ভিন্ন। সাড়ে ছয় লক্ষ জনগনের বিশাল এ জনপদের সাধারন মানুষকে স্বার্থহীন ভালবাসা দিয়ে প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ কাজী শাহ মোফাজ্জাল হোসেন কায়কোবাদ। ২০১১সালে কায়কোবাদ অসুস্থ হয়ে দেশের বাহিরে চিকিৎসারত থাকাকালীন সময়ে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মামলায় আসামী করা হয় তাকে। এরপর থেকে কায়কোবাদ দেশের বাহিওে অবস্থান করছেন। দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন নেতাকর্মীর সাথে। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কায়কোবাদ দাদাকে মুরাদনগরের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ষরযন্ত্র করে দাদার জনপ্রিয়তা দমিয়ে রাখা যায়নি। দাদা মুরাদনগরের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার এক নাম। মুরাদনগরবাসী অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রিয় নেতাকে আবার নতুন করে বরণ করতে। আশা করছি চলতি মাসেই দাদা আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।