দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ডক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, “পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরো মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিসত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সাথে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর। ডক্টর ক্ষেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।”
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছা প্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আটটিতে কোভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি:
থাইল্যান্ড: ১৭৭ জন
ইন্দোনেশিয়া: ১৩৪ জন
ভারত: ১২৫ জন
শ্রীলংকা: ১৯ জন
মালদ্বীপ: ১৩ জন
বাংলাদেশ: ১১ জন
নেপাল: ১ জন
ভুটান: ১ জন
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

























