১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

সাতক্ষীরায় প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় করোনা ঝুকিতে জনসাধারণ

সাতক্ষীরার জেলা শহর ব্যতীত ৭ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে মানছে না সামাজিক দুরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদরকি না থাকায় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না বলে সচেতন মহলের দাবী। এ অবস্তা চলতে থাকলে ভারত সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস মারাত্বক বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সরকার এর থেকে পরিত্রানের জন্য ঘর থেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হতে বিধি নিষেধ আরোপ করলেও তা থোড়ায় কেয়ারে!

অনুসন্ধানী এ প্রতিবেদনে দেখাগেছে উপজেলা শহর গুলোতে সকালে মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা না গেলেও রাস্তা ঘাটে যথেষ্ঠ যানবাহনের ভীড় দেখা গেছে। আজ ১লা এপ্রিল দুপুর ১২ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শুভাষিনি বাজার হতে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়ক হয়ে কলারোয়া উপজেলার কাজীরহাট পর্যন্ত মটর সাইকেল চালিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। সড়কের কোথায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোষ্ট নজরে আসেনি। বিকাল নামতেই তালা পাটকেলঘাটা,তালা সদর,খলিলনগর বাজার,মাগুরা,জেটুয়া,ইসলামকাটি,মির্জাপুর,কুমিরা,খলিষখালি,সরুলিয়া,ধানদিয়া,নগরঘাটা,সাতক্ষীরা সদর ভোমরা,বাদামতলা,কুশখালি,ভাড়–খালি,কাথন্ডা,বৈকারী,মাধবকাটি,ঝাউডাঙ্গা,তুজুলপুর,কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা,বোয়ালিয়া,সরসকাটি,হাওয়ালখালি সহ বিভিন্ন বাজারে মানুষের অবাধ বিচরণ।

আশাশুনি,শ্যামনগর,দেবহাটা,কালিগঞ্জ এলাকার গ্রামগঞ্জে একই অবস্থা বলে নিশ্চিত করেছেন সহযোদ্ধারা। সাধারন মানুষ কারনে অকারনে বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে। চায়ের দোকান বন্ধ থাকলেও পেছনের দরজা খুলে চা হাতে এদিক সেদিক দাঁড়িয়ে ঠিকই আড্ডা দিচ্ছে।

সকল দোকানপাঠ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও দোকানীরা শাটার টেনে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাষ্টমার আসলেই ভেতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। ঠিকই ছলছে বিকিকিনি। এ জন্য বাজারে সামাজিক নিরাপত্তা নেই বল্লেও চলে। গত ৩১ শে মার্চ সন্ধ্যায় এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে কথা হলে অনেকটাই অভিমানে বলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে কর্তব্যরত জেলার এক থানার ওসি এ প্রতিবেদককে বলেন,সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে আপনারই তো আমাদের বিরুদ্ধে থাকেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন,আগামী কাল থেকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ট্যাগ :

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

সাতক্ষীরায় প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় করোনা ঝুকিতে জনসাধারণ

প্রকাশিত : ০৮:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরার জেলা শহর ব্যতীত ৭ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে মানছে না সামাজিক দুরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদরকি না থাকায় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না বলে সচেতন মহলের দাবী। এ অবস্তা চলতে থাকলে ভারত সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস মারাত্বক বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সরকার এর থেকে পরিত্রানের জন্য ঘর থেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হতে বিধি নিষেধ আরোপ করলেও তা থোড়ায় কেয়ারে!

অনুসন্ধানী এ প্রতিবেদনে দেখাগেছে উপজেলা শহর গুলোতে সকালে মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা না গেলেও রাস্তা ঘাটে যথেষ্ঠ যানবাহনের ভীড় দেখা গেছে। আজ ১লা এপ্রিল দুপুর ১২ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শুভাষিনি বাজার হতে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়ক হয়ে কলারোয়া উপজেলার কাজীরহাট পর্যন্ত মটর সাইকেল চালিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। সড়কের কোথায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোষ্ট নজরে আসেনি। বিকাল নামতেই তালা পাটকেলঘাটা,তালা সদর,খলিলনগর বাজার,মাগুরা,জেটুয়া,ইসলামকাটি,মির্জাপুর,কুমিরা,খলিষখালি,সরুলিয়া,ধানদিয়া,নগরঘাটা,সাতক্ষীরা সদর ভোমরা,বাদামতলা,কুশখালি,ভাড়–খালি,কাথন্ডা,বৈকারী,মাধবকাটি,ঝাউডাঙ্গা,তুজুলপুর,কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা,বোয়ালিয়া,সরসকাটি,হাওয়ালখালি সহ বিভিন্ন বাজারে মানুষের অবাধ বিচরণ।

আশাশুনি,শ্যামনগর,দেবহাটা,কালিগঞ্জ এলাকার গ্রামগঞ্জে একই অবস্থা বলে নিশ্চিত করেছেন সহযোদ্ধারা। সাধারন মানুষ কারনে অকারনে বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে। চায়ের দোকান বন্ধ থাকলেও পেছনের দরজা খুলে চা হাতে এদিক সেদিক দাঁড়িয়ে ঠিকই আড্ডা দিচ্ছে।

সকল দোকানপাঠ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও দোকানীরা শাটার টেনে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাষ্টমার আসলেই ভেতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। ঠিকই ছলছে বিকিকিনি। এ জন্য বাজারে সামাজিক নিরাপত্তা নেই বল্লেও চলে। গত ৩১ শে মার্চ সন্ধ্যায় এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে কথা হলে অনেকটাই অভিমানে বলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে কর্তব্যরত জেলার এক থানার ওসি এ প্রতিবেদককে বলেন,সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে আপনারই তো আমাদের বিরুদ্ধে থাকেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন,আগামী কাল থেকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।