১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নেইমার-এমবাপের দাম জানাল পিএসজি

ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারকে কেনার জন্য মুখিয়ে আছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। অনেকদিন ধরেই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) থেকে তাকে ভাগিয়ে আনার। বারবার নেইমারকে বিক্রির সম্ভাবনা নাকচ করলেও এবার অনেকটা বাধ্য হয়েই তার দাম ঘোষণা করল পিএসজি। সেইসঙ্গে জানা গেছে, ফরাসি সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপের দামও। রিয়ালের সঙ্গে বার্সেলোনা, ম্যান সিটি কিংবা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এই খবরে নড়চড়ে বসেছে।

পিএসজির মালিক কাতারের হওয়ায় খেলোয়াড় কেনায় অঢেল অর্থ ঢালছে ক্লাবটি। সেইসঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়নেও গত তিন চার মৌসুমে অঢেল টাকা ঢালছে তারা। গত মৌসুমে শুধু নেইমারকে কিনতেই খরচ করেছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো। আর এমবাপেকে কিনেছে ১৮০ মিলিয়নের বিনিময়ে। এত খরচ করেই এখন বিপদে পড়ে গেছে ক্লাবটি। য়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে পিএসজির বিরুদ্ধে। আদালতে বিচারাধীন এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবটি।

মিডিয়া পার্ট লিকস জানিয়েছে, ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম ভাঙার দায় থেকে বাঁচতে চাইলে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ হওয়া আটকাতে চাইলে ১৭০ মিলিয়ন ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে পিএসজিকে। দলবদলের নতুন মৌসুমে পিএসজি তাই খেলোয়াড় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ নিষিদ্ধ হলে খেলোয়াড় কিনো তো কোনো লাভ নেই। তবে ১৭০ মিলিয়ন পেতে নেইমার কিংবা এমবাপের একজনকেই যে বিক্রি করতে হবে তাদের! কারণ দলের অন্য কোনো খেলোয়াড়কে এত টাকায় কোনো ক্লাবই তো কিনবে না!

যদি এই দুজনের একজনকে পিএসজি ছাড়তে না চায়, তবে তাদের তিন-চারজন ফুটবলারকে একসঙ্গে ছাড়তে হবে। তাতে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং এতে নাকি রাজীও নয় পিএসজি। অন্যদিকে নেইমার কিংবা এমবাপেকে বিক্রি করলে অবশ্যই লসে বিক্রি করতে হবে। এমবাপের ক্ষেত্রে ক্ষতিটা কম হলেও নেইমারের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি। তাছাড়া নেইমারের কল্যাণে বিশ্ব ফুটবলের নজরে আছে পিএসজি। তাই নেইমারকে সহজে ছাড়তে চাইবে না তারা। এখন দেখার, পিএসজি কী সিদ্ধান্ত নেয়।

বিবি/এসআর

ট্যাগ :

বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

নেইমার-এমবাপের দাম জানাল পিএসজি

প্রকাশিত : ০৮:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারকে কেনার জন্য মুখিয়ে আছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। অনেকদিন ধরেই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) থেকে তাকে ভাগিয়ে আনার। বারবার নেইমারকে বিক্রির সম্ভাবনা নাকচ করলেও এবার অনেকটা বাধ্য হয়েই তার দাম ঘোষণা করল পিএসজি। সেইসঙ্গে জানা গেছে, ফরাসি সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপের দামও। রিয়ালের সঙ্গে বার্সেলোনা, ম্যান সিটি কিংবা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এই খবরে নড়চড়ে বসেছে।

পিএসজির মালিক কাতারের হওয়ায় খেলোয়াড় কেনায় অঢেল অর্থ ঢালছে ক্লাবটি। সেইসঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়নেও গত তিন চার মৌসুমে অঢেল টাকা ঢালছে তারা। গত মৌসুমে শুধু নেইমারকে কিনতেই খরচ করেছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো। আর এমবাপেকে কিনেছে ১৮০ মিলিয়নের বিনিময়ে। এত খরচ করেই এখন বিপদে পড়ে গেছে ক্লাবটি। য়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে পিএসজির বিরুদ্ধে। আদালতে বিচারাধীন এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিষিদ্ধ হতে পারে ক্লাবটি।

মিডিয়া পার্ট লিকস জানিয়েছে, ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম ভাঙার দায় থেকে বাঁচতে চাইলে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ হওয়া আটকাতে চাইলে ১৭০ মিলিয়ন ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে পিএসজিকে। দলবদলের নতুন মৌসুমে পিএসজি তাই খেলোয়াড় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ নিষিদ্ধ হলে খেলোয়াড় কিনো তো কোনো লাভ নেই। তবে ১৭০ মিলিয়ন পেতে নেইমার কিংবা এমবাপের একজনকেই যে বিক্রি করতে হবে তাদের! কারণ দলের অন্য কোনো খেলোয়াড়কে এত টাকায় কোনো ক্লাবই তো কিনবে না!

যদি এই দুজনের একজনকে পিএসজি ছাড়তে না চায়, তবে তাদের তিন-চারজন ফুটবলারকে একসঙ্গে ছাড়তে হবে। তাতে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং এতে নাকি রাজীও নয় পিএসজি। অন্যদিকে নেইমার কিংবা এমবাপেকে বিক্রি করলে অবশ্যই লসে বিক্রি করতে হবে। এমবাপের ক্ষেত্রে ক্ষতিটা কম হলেও নেইমারের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি। তাছাড়া নেইমারের কল্যাণে বিশ্ব ফুটবলের নজরে আছে পিএসজি। তাই নেইমারকে সহজে ছাড়তে চাইবে না তারা। এখন দেখার, পিএসজি কী সিদ্ধান্ত নেয়।

বিবি/এসআর