১২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

বাবা-মায়ের সন্ধানে ডেনমার্কের নাগরিক ময়মনসিংহে

বাবা-মায়ের সন্ধানে চুয়াল্লিশ বছর পর ময়মনসিংহে ছুটে এসেছেন ডেনমার্কের নাগরিক ক্যারোলিন (৪৬)। তিনি জানাতে পারেনি মা-বাবার পরিচয়। ক্যারোলিন স্মৃতি হিসেবে সাথে এনেছেন তার শিশু কালের একটি ছবি।
ক্যারোলিনের সাথে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কথা হয়।

ক্যারোলিন জানায়, আনুমানিক দুই বছর পিতা মাতাহীন ময়মনসিংহ মেডিকেলে তাকে পাওয়া যায়। পরে মেডিকেল থেকে গাজিপুরের আমেনা নামে একটি শিশু আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা হয় তার।
১৯৭৫ সালের নভেম্বরে ডেনমার্কের এক দম্পত্তি তাকে দত্তক হিসাবে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই লেখা-পড়া করে বড় হন তিনি।

ক্যারোলিন আরও জানান, প্রায় বছর খানেক আগে কানাডায় কর্মরত রবিউল বাসার উজ্জল নামে একজনের সাথে পরিচয় হয় তার। এরপর উজ্জলের সাথে ডিএনএ কিছুটা মিল পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই পরিবারের খোজে ময়মনসিংহে আসেন তিনি।

বাবা-মা হয়তো বেচে নেই, কিন্তু পরিবারের হয়তো কেউ বেচে আছেন। এই আশাতেই এসেছিলাম। তবে পরিবারের খোজে আবারও বাংলাদেশে আসবেন বলেও জানান তিনি।

কানাডায় কর্মরত রবিউল বাসার উজ্জলের ছোট ভাই কায়সার জানান, তিনি শিশুকালের কিছু ছবি সাথে করে এনেছেন। যদি কেউ চিনতে পারে এই আশায়। যদি তিনি তার মা-বাবাকে ফিরে পায়, এটা তার কাছে বড় পাওয়া হবে।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম হয় ক্যারোলিনের। তিনি ডেনমার্কে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেন। রবিবার ফিরে যাবেন ডেনমার্কে। তবে পরিবারের খোজে আবার বাংলাদেশে আসবেন তিনি।

বিবি/রেআ

ট্যাগ :

বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাবা-মায়ের সন্ধানে ডেনমার্কের নাগরিক ময়মনসিংহে

প্রকাশিত : ০১:২০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বাবা-মায়ের সন্ধানে চুয়াল্লিশ বছর পর ময়মনসিংহে ছুটে এসেছেন ডেনমার্কের নাগরিক ক্যারোলিন (৪৬)। তিনি জানাতে পারেনি মা-বাবার পরিচয়। ক্যারোলিন স্মৃতি হিসেবে সাথে এনেছেন তার শিশু কালের একটি ছবি।
ক্যারোলিনের সাথে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কথা হয়।

ক্যারোলিন জানায়, আনুমানিক দুই বছর পিতা মাতাহীন ময়মনসিংহ মেডিকেলে তাকে পাওয়া যায়। পরে মেডিকেল থেকে গাজিপুরের আমেনা নামে একটি শিশু আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা হয় তার।
১৯৭৫ সালের নভেম্বরে ডেনমার্কের এক দম্পত্তি তাকে দত্তক হিসাবে নিয়ে যায় তাকে। সেখানেই লেখা-পড়া করে বড় হন তিনি।

ক্যারোলিন আরও জানান, প্রায় বছর খানেক আগে কানাডায় কর্মরত রবিউল বাসার উজ্জল নামে একজনের সাথে পরিচয় হয় তার। এরপর উজ্জলের সাথে ডিএনএ কিছুটা মিল পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই পরিবারের খোজে ময়মনসিংহে আসেন তিনি।

বাবা-মা হয়তো বেচে নেই, কিন্তু পরিবারের হয়তো কেউ বেচে আছেন। এই আশাতেই এসেছিলাম। তবে পরিবারের খোজে আবারও বাংলাদেশে আসবেন বলেও জানান তিনি।

কানাডায় কর্মরত রবিউল বাসার উজ্জলের ছোট ভাই কায়সার জানান, তিনি শিশুকালের কিছু ছবি সাথে করে এনেছেন। যদি কেউ চিনতে পারে এই আশায়। যদি তিনি তার মা-বাবাকে ফিরে পায়, এটা তার কাছে বড় পাওয়া হবে।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম হয় ক্যারোলিনের। তিনি ডেনমার্কে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেন। রবিবার ফিরে যাবেন ডেনমার্কে। তবে পরিবারের খোজে আবার বাংলাদেশে আসবেন তিনি।

বিবি/রেআ