০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সিসিটিভি ফুটেজ ‘হাওয়া’, উদ্ধারের দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর রোববার (২২ ডিসেম্বর) হামলার পর ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ ‘গায়েব’ হয়ে গেছে। কে বা কারা এই ফুটেজগুলো গায়েব করেছে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, ডাকসু ভবনের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট নয়টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা আছে। ক্যামেরার ফুটেজগুলো ধারণ করা হতো ডাকসুর সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদের কক্ষে। সেই কক্ষে একটি মনিটর এবং একটি সিপিইউ ছিল। কিন্তু ডাকসু ভবনে নুরুর ওপর হামলার ঘটনার পর সেই মনিটর এবং সিপিইউয়ের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ডাকসু ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, হামলায় জড়িতদের শাস্তিসহ কয়েক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক‌্যের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীদের বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়েছে।

কর্মসূচি ঘোষণা করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে সমন্বয় করে হামলা করা হয়েছে। আমাদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসী সাদ্দাম এবং সনজিতের নেতৃত্বে হামলা করেছে, তা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতিসত্বর সেই ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে। যদি প্রকাশ করা না হয়, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের লেজুরবৃত্তি আরেকবার প্রস্ফুটিত হবে। যে প্রক্টর ব্যবস্থা নিতে পারেনি, তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর কোনো আবরারের লাশ আমরা দেখতে চাই না।’

আকতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার সমাবেশ হবে। এতে সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পরে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শিক্ষার্থী হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

ডাকসু’র সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দুপুরে যখন ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা হয়, তখন তিনি বিষয়টি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীর কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রক্টর অফিসের একজন কর্মকর্তা তাকে জানান, ডাকসুর প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসাইন এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে গিয়ে তারা ডাকসু ভবনের গেট খুলতে বলেন। কিছুক্ষণ পর গেট খুলে দিলে কিছু অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে তারা ভবনের ভেতরে ঢোকেন।

তিনি আরও জানান, দুই পক্ষ যখন দোতলায় মুখোমুখি অবস্থান করছিল, তখন তিনি আবার প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান। প্রক্টর জানান, বিষয়টি তিনি দেখছেন। এরপর প্রক্টরের কার্যালয় থেকে বের হয়ে পরিস্থিতি জানানোর জন্য তিনি ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কার্যালয়ে যান। তাকে কার্যালয়ে না পেয়ে মুঠোফোনে চেষ্টা করেন। কিন্তু শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ফোন ধরেননি। এরপর তিনি নিজের কক্ষে এসে দেখেন, তাঁর কক্ষের তালা ভাঙা এবং ভেতরে মনিটর ও সিপিইউ নেই। কে বা কারা সেগুলো নিয়ে গেছে, তা তিনি জানেন না।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার সময় হামলাকারীরা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কয়েক দফা মারধরের শিকার হন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারাবী। এ ছাড়া হামলায় আহত নুরুলের ভাই আমিনুর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুই দফায় নুরু ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান। এরপর সনজীত ও সাদ্দাম ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

সিসিটিভি ফুটেজ ‘হাওয়া’, উদ্ধারের দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত : ০৫:৩২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর রোববার (২২ ডিসেম্বর) হামলার পর ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ ‘গায়েব’ হয়ে গেছে। কে বা কারা এই ফুটেজগুলো গায়েব করেছে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, ডাকসু ভবনের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট নয়টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা আছে। ক্যামেরার ফুটেজগুলো ধারণ করা হতো ডাকসুর সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদের কক্ষে। সেই কক্ষে একটি মনিটর এবং একটি সিপিইউ ছিল। কিন্তু ডাকসু ভবনে নুরুর ওপর হামলার ঘটনার পর সেই মনিটর এবং সিপিইউয়ের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ডাকসু ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, হামলায় জড়িতদের শাস্তিসহ কয়েক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক‌্যের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীদের বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়েছে।

কর্মসূচি ঘোষণা করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে সমন্বয় করে হামলা করা হয়েছে। আমাদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসী সাদ্দাম এবং সনজিতের নেতৃত্বে হামলা করেছে, তা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতিসত্বর সেই ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে। যদি প্রকাশ করা না হয়, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের লেজুরবৃত্তি আরেকবার প্রস্ফুটিত হবে। যে প্রক্টর ব্যবস্থা নিতে পারেনি, তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর কোনো আবরারের লাশ আমরা দেখতে চাই না।’

আকতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার সমাবেশ হবে। এতে সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পরে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শিক্ষার্থী হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

ডাকসু’র সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দুপুরে যখন ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা হয়, তখন তিনি বিষয়টি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীর কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রক্টর অফিসের একজন কর্মকর্তা তাকে জানান, ডাকসুর প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরে ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসাইন এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাসকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে গিয়ে তারা ডাকসু ভবনের গেট খুলতে বলেন। কিছুক্ষণ পর গেট খুলে দিলে কিছু অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে তারা ভবনের ভেতরে ঢোকেন।

তিনি আরও জানান, দুই পক্ষ যখন দোতলায় মুখোমুখি অবস্থান করছিল, তখন তিনি আবার প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান। প্রক্টর জানান, বিষয়টি তিনি দেখছেন। এরপর প্রক্টরের কার্যালয় থেকে বের হয়ে পরিস্থিতি জানানোর জন্য তিনি ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের কার্যালয়ে যান। তাকে কার্যালয়ে না পেয়ে মুঠোফোনে চেষ্টা করেন। কিন্তু শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ফোন ধরেননি। এরপর তিনি নিজের কক্ষে এসে দেখেন, তাঁর কক্ষের তালা ভাঙা এবং ভেতরে মনিটর ও সিপিইউ নেই। কে বা কারা সেগুলো নিয়ে গেছে, তা তিনি জানেন না।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার সময় হামলাকারীরা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কয়েক দফা মারধরের শিকার হন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারাবী। এ ছাড়া হামলায় আহত নুরুলের ভাই আমিনুর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুই দফায় নুরু ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান। এরপর সনজীত ও সাদ্দাম ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ