০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ধামইরহাটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নওগাঁর ধামইরহাটে বজ্রপাতে এক যুবক মারা গেছে। জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু ইছা তার দুলাভাই আব্দুল কাদেরের বাড়ি অমরপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিকেলে প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। আবু ইছা ও তার বোন মহিষা বেগম (২৭) কে নিয়ে গরু নেয়ার জন্য অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠের পুকুর পাড়ে যায়। এসময় আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে আবু ইছা মারা যায় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মনিষা বেগমকে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আবু ইছা উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত বিহারীনগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে।

অপর দিকে ধামইরহাটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ইরি বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয় ঘটে। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। প্রচন্ড ঝড়ের কারণে উপজেলার হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়ে। উপজেলা ক্যান্টিন চত্ত্বরে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় বড় গাছ বিদ্যুতের তারে উপড়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও ব্যক্তি মালিকানা বাগানে শত শত গাছ পড়ে যায়। ঝড়ের সাথে প্রচন্ড বৃষ্টি বর্ষণ হয়। এতে নিচু এলাকার পাকা ইরি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এছাড়া ঝড়ের কারণে আম ও লিচু গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে এবং আবিলাম নামকস্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন, উপজেলা পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে ধামইরহাট পৌরসভা, ধামইরহাট ও জাহানপুর ইউনিয়নে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রায় ৭ হেক্টর জমির ধান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়। এছাড়া ২ হেক্টর নিচু জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক বাগানের আম ও লিচু ঝড়ে পড়ে গেছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

ধামইরহাটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত : ০৯:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

নওগাঁর ধামইরহাটে বজ্রপাতে এক যুবক মারা গেছে। জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু ইছা তার দুলাভাই আব্দুল কাদেরের বাড়ি অমরপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিকেলে প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। আবু ইছা ও তার বোন মহিষা বেগম (২৭) কে নিয়ে গরু নেয়ার জন্য অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠের পুকুর পাড়ে যায়। এসময় আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে আবু ইছা মারা যায় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মনিষা বেগমকে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আবু ইছা উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত বিহারীনগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে।

অপর দিকে ধামইরহাটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ইরি বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয় ঘটে। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। প্রচন্ড ঝড়ের কারণে উপজেলার হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়ে। উপজেলা ক্যান্টিন চত্ত্বরে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় বড় গাছ বিদ্যুতের তারে উপড়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও ব্যক্তি মালিকানা বাগানে শত শত গাছ পড়ে যায়। ঝড়ের সাথে প্রচন্ড বৃষ্টি বর্ষণ হয়। এতে নিচু এলাকার পাকা ইরি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এছাড়া ঝড়ের কারণে আম ও লিচু গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে এবং আবিলাম নামকস্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন, উপজেলা পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে ধামইরহাট পৌরসভা, ধামইরহাট ও জাহানপুর ইউনিয়নে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রায় ৭ হেক্টর জমির ধান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়। এছাড়া ২ হেক্টর নিচু জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক বাগানের আম ও লিচু ঝড়ে পড়ে গেছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান