০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নামতে পারে ১.৬ শতাংশে: বিশ্ব ব্যাংক

বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুকের’ জুন সংখ্যায় এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, কোভিড-১৯ এর কারণে শিল্প উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায়, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কমে ১ দশমিক ৬ শতাংশে নামতে পারে।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এই অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ২ শতাংশে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় চলা লকডাউনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে।

যার প্রভাবে এবার বাংলাদেশ ৩.৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আইএমএফ।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনের কারণে ভারত ও নেপালের মতো বাংলাদেশেও মানুষের ব্যক্তিগত ভোগ মারাত্মকভাবে কমেছে।

মহামারীর ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে ব্যাপক কর্মী বাহিনী গ্রামে চলে গেছে; যার ফলে শিল্প উৎপাদনসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত ও শ্লথ হয়ে পড়েছে।

তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদের হার কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববাজারে তেলের ব্যাপক দরপতন থেকে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি হ্রাস তার জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, মহামারীর কারণে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৫ দশমিক ২ হারে সংকুচিত হবে। বিশ্বের বড় অংশের অর্থনীতিতে মাথা পিছু আয়ে যে হ্রাস দেখা দেবে তা ১৮৭০ সালের পর সর্বোচ্চ হবে। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর প্রথম মহামন্দা দেখা দেবে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ,বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ব্যাহত হওয়ায় চলতি বছর উন্নত দেশগুলির অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে এবং উন্নয়নশীল দেশগুরির অর্থনীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে বলে বিশ্ব ব্যাংক আশা করছে।
এছাড়া বিশ্বের মাথাপিছু আয় গড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হারে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে,যার ফলে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নামতে পারে ১.৬ শতাংশে: বিশ্ব ব্যাংক

প্রকাশিত : ০২:২০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জুন) প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুকের’ জুন সংখ্যায় এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, কোভিড-১৯ এর কারণে শিল্প উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায়, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কমে ১ দশমিক ৬ শতাংশে নামতে পারে।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এই অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ২ শতাংশে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় চলা লকডাউনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে।

যার প্রভাবে এবার বাংলাদেশ ৩.৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আইএমএফ।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাকের চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনের কারণে ভারত ও নেপালের মতো বাংলাদেশেও মানুষের ব্যক্তিগত ভোগ মারাত্মকভাবে কমেছে।

মহামারীর ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে ব্যাপক কর্মী বাহিনী গ্রামে চলে গেছে; যার ফলে শিল্প উৎপাদনসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত ও শ্লথ হয়ে পড়েছে।

তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদের হার কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববাজারে তেলের ব্যাপক দরপতন থেকে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি হ্রাস তার জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, মহামারীর কারণে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৫ দশমিক ২ হারে সংকুচিত হবে। বিশ্বের বড় অংশের অর্থনীতিতে মাথা পিছু আয়ে যে হ্রাস দেখা দেবে তা ১৮৭০ সালের পর সর্বোচ্চ হবে। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর প্রথম মহামন্দা দেখা দেবে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ,বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ব্যাহত হওয়ায় চলতি বছর উন্নত দেশগুলির অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে এবং উন্নয়নশীল দেশগুরির অর্থনীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে বলে বিশ্ব ব্যাংক আশা করছে।
এছাড়া বিশ্বের মাথাপিছু আয় গড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হারে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে,যার ফলে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর