১২:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

জাভেদ আখতার আমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন: কঙ্গনা

কঙ্গনা- জাভেদ আখতার

ঢাকা : ‘আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত খুন’, সুশান্তের মৃত্যুর পরই বোমা ফাটিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এবার ফের বিস্ফোরক অভিনেত্রী। তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনলেন জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে। ‘নেপোটিজম’-এর নিয়ে বলিউডে প্রথম আওয়াজটা কঙ্গনাই তুলেছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর ‘নেপোটিজম’, ‘পরিবারতন্ত্র’ এই বিষয়গুলো যেন আরও জোরালো হয়ে উঠল।

সম্প্রতি, মহেশ ভাটের ভাই মুকেশ সুশান্তের মানসিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে পরভীন ববির কথা উল্লেখ করেছিলেন। আটের দশকের এই হিট নায়িকারও মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ ছিল মানসিক অবসাদ। সে প্রসঙ্গ টেনেই মুকেশ বলেছিলেন, “সুশান্ত যে এরকম কিছু একটা করতে চলেছেন অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। ওর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না।” এবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই পালটা দিলেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)।

“পেশাগত দিক দিয়ে অশান্তিতে ভুগছিলেন সুশান্ত। বলিউডের এই ‘পরিবারতন্ত্র’র জন্য ওঁর প্রাণ গেল। ঠিক যেভাবে সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) সঙ্গে বহার করা হত, আমিও একইরকম ভুক্তভোগী। আমাকেও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। জাভেদ আখতার একবার তাঁর বাড়িতে ডেকে আমাকে রীতিমতো ধমক দেন। তিনি বলেছিলেন, রাকেশ রোশনরা বলিউডে অনেক বড় পরিবার। ওদের কাছে যদি তুমি ক্ষমা না চাও, তাহলে তোমাকে জেলেও যেতে হতে পারে। এমনকী, রোশন পরিবারের কাছে ক্ষমা না চাইলে, আমার কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন উনি। জাভেদজি এও বলেছিলেন যে, রাকেশ রোশনদের কাছে ক্ষমা না চাইলে, আমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকবে না!” মন্তব্য কঙ্গনার।

অভিনেত্রী আরও বলেন যে, “জাভেদ আখতার (Javed Akhtar) এটা কেন ভাবলেন যে আমি আত্মহত্যা করে বসব? আমি একপ্রকার নিশ্চিত, যে সুশান্তকেও এরকম কোনও কথা বলা হয়েছিল। জানতে চাই যে, এই কাজটা সুশান্তের সঙ্গে কে করলেন?”

যশ রাজ ফিল্মসের প্রতিও কঙ্গনা অভিযোগ তোলেন। তাঁর বক্তব্য, “একসময়ে আমি যখন ‘সুলতান’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আদিত্য আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে আমার সঙ্গে আর কোনও কাজ কেউ করবেন না। সবাই আমার পাশ থেকে সরিয়ে গিয়েছিল সেদিন। তারপর থেকেই আমি একাকীত্বে ভুগতাম। মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলা উচিত এঁদের সবার!”

‘মাৎসান্যায়’ খুব পরিচিত একটা শব্দ। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে কোনও ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেই এই কথাটা যে বেশ খাটে, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই! শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়। কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্যে বোধহয় আবারও নতুন করে সেদিকেই ইঙ্গিত করল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

জাভেদ আখতার আমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন: কঙ্গনা

প্রকাশিত : ০৭:৫১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

ঢাকা : ‘আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত খুন’, সুশান্তের মৃত্যুর পরই বোমা ফাটিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এবার ফের বিস্ফোরক অভিনেত্রী। তাঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনলেন জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে। ‘নেপোটিজম’-এর নিয়ে বলিউডে প্রথম আওয়াজটা কঙ্গনাই তুলেছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর ‘নেপোটিজম’, ‘পরিবারতন্ত্র’ এই বিষয়গুলো যেন আরও জোরালো হয়ে উঠল।

সম্প্রতি, মহেশ ভাটের ভাই মুকেশ সুশান্তের মানসিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে পরভীন ববির কথা উল্লেখ করেছিলেন। আটের দশকের এই হিট নায়িকারও মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ ছিল মানসিক অবসাদ। সে প্রসঙ্গ টেনেই মুকেশ বলেছিলেন, “সুশান্ত যে এরকম কিছু একটা করতে চলেছেন অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। ওর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না।” এবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই পালটা দিলেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)।

“পেশাগত দিক দিয়ে অশান্তিতে ভুগছিলেন সুশান্ত। বলিউডের এই ‘পরিবারতন্ত্র’র জন্য ওঁর প্রাণ গেল। ঠিক যেভাবে সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) সঙ্গে বহার করা হত, আমিও একইরকম ভুক্তভোগী। আমাকেও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। জাভেদ আখতার একবার তাঁর বাড়িতে ডেকে আমাকে রীতিমতো ধমক দেন। তিনি বলেছিলেন, রাকেশ রোশনরা বলিউডে অনেক বড় পরিবার। ওদের কাছে যদি তুমি ক্ষমা না চাও, তাহলে তোমাকে জেলেও যেতে হতে পারে। এমনকী, রোশন পরিবারের কাছে ক্ষমা না চাইলে, আমার কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন উনি। জাভেদজি এও বলেছিলেন যে, রাকেশ রোশনদের কাছে ক্ষমা না চাইলে, আমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকবে না!” মন্তব্য কঙ্গনার।

অভিনেত্রী আরও বলেন যে, “জাভেদ আখতার (Javed Akhtar) এটা কেন ভাবলেন যে আমি আত্মহত্যা করে বসব? আমি একপ্রকার নিশ্চিত, যে সুশান্তকেও এরকম কোনও কথা বলা হয়েছিল। জানতে চাই যে, এই কাজটা সুশান্তের সঙ্গে কে করলেন?”

যশ রাজ ফিল্মসের প্রতিও কঙ্গনা অভিযোগ তোলেন। তাঁর বক্তব্য, “একসময়ে আমি যখন ‘সুলতান’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আদিত্য আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে আমার সঙ্গে আর কোনও কাজ কেউ করবেন না। সবাই আমার পাশ থেকে সরিয়ে গিয়েছিল সেদিন। তারপর থেকেই আমি একাকীত্বে ভুগতাম। মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলা উচিত এঁদের সবার!”

‘মাৎসান্যায়’ খুব পরিচিত একটা শব্দ। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে কোনও ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেই এই কথাটা যে বেশ খাটে, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই! শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়। কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্যে বোধহয় আবারও নতুন করে সেদিকেই ইঙ্গিত করল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ