০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

করোনা মহামারিতে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে ব্র্যাক

করোনাভাইরাস মহামারীতে কিস্তি আদায় স্থগিতসহ নানামূখী ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্র্যাকের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা আঞ্চলিক ইউনিট। জানা যায়, গত মার্চ মাসে যখন বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন থেকে বিশ্বের সর্ববূহং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সরকারি আদেশ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইক্রোফাইন্যান্স এর কিস্তি আদায় সহ সকল কার্যক্রম স্থগিত রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ব্রাকের কর্মীগণ করুনা মোকাবেলা ও জনসচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যা এখনো অবাহত আছে।

এই সার্বিক কার্যক্রমের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাক নর্থ ইস্ট ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী। এই সংকটময় অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের পরিবারের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির যে সকল সদস্য-সদস্যা অর্থনৈতিক এবং খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় প্রায় ১২ হাজার ৬৮ জন সদস্যকে ৩ কোটি ১২ লক্ষ ১১ হাজার টাকা বিকাশ এবং নগদে সঞ্চয় ফেরত প্রদান করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে র্মাচ মাস থেকে ব্র্যাক ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আপাময় জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেমন: ৭৫ হাজার পরিবারকে লিফলেট বিতরণ, ৩৩ হাজার স্টিকার, ৬ হাজার ৭০০টি মাস্ক এবং ২ হাজার পরিবারকে ২টি করে সাবান ও হারপিক পাউডার, ৮শ ৭৮টি হেক্সিসল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলায় প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা সম্পর্কে জনসচেতনমূলক মাইকিং, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে দোকান ও বাজারে বৃত্ত তৈরি, বিভিন্ন বাজার, মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থান সমূহে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও স্প্রে করা, তাছাড়াও এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ সদস্যার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে করুনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কোন সদস্য বা তার পরিবার খাদ্য সংকটের মধ্যে আছে কিনা তার খোঁজ খবর নেয়া অব্যাহত আছে বলে জানান ব্র্যাকের ব্রাহ্মণবাড়য়িা-২ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, এই দুর্যোগকালীন সময়ে দরিদ্র কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন পুঁজির অভাবে কোথাও টাকা পাচ্ছে না সে সময় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির (এম আর এ) সকল নিয়ম নীতি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গত মে মাসের ১০ তারিখ থেকে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে ব্র্যাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৩ হাজার ৫৭৩ জন সদস্যকে ৫০ কোটি ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করেছে যা এখনো অব্যাহত আছে।

ব্র্যাকের ব্রাহ্মণবাড়য়িা-১ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মঈনুল হক চৌধুরী জানান অন্যান্য সংস্থাগুলো যেখানে সদস্যেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেখানে ব্র্যাক সদস্যদের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত সদস্যেদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় স্থগিত রেখেছে। তাছাড়াও ব্রাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি থেকে হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও নির্যাতিত নারীর মধ্যে ৭৮ জনকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ব্র্যাকের এসব কর্মকান্ডে এলাকার লোকজনসহ সর্ব মহলে প্রসংশিত হচ্ছে বলে জানা যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

করোনা মহামারিতে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে ব্র্যাক

প্রকাশিত : ০৭:২০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারীতে কিস্তি আদায় স্থগিতসহ নানামূখী ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্র্যাকের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা আঞ্চলিক ইউনিট। জানা যায়, গত মার্চ মাসে যখন বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন থেকে বিশ্বের সর্ববূহং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সরকারি আদেশ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইক্রোফাইন্যান্স এর কিস্তি আদায় সহ সকল কার্যক্রম স্থগিত রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ব্রাকের কর্মীগণ করুনা মোকাবেলা ও জনসচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যা এখনো অবাহত আছে।

এই সার্বিক কার্যক্রমের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাক নর্থ ইস্ট ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার গোলাম রাব্বানী। এই সংকটময় অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের পরিবারের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির যে সকল সদস্য-সদস্যা অর্থনৈতিক এবং খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় প্রায় ১২ হাজার ৬৮ জন সদস্যকে ৩ কোটি ১২ লক্ষ ১১ হাজার টাকা বিকাশ এবং নগদে সঞ্চয় ফেরত প্রদান করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে র্মাচ মাস থেকে ব্র্যাক ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আপাময় জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেমন: ৭৫ হাজার পরিবারকে লিফলেট বিতরণ, ৩৩ হাজার স্টিকার, ৬ হাজার ৭০০টি মাস্ক এবং ২ হাজার পরিবারকে ২টি করে সাবান ও হারপিক পাউডার, ৮শ ৭৮টি হেক্সিসল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলায় প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা সম্পর্কে জনসচেতনমূলক মাইকিং, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে দোকান ও বাজারে বৃত্ত তৈরি, বিভিন্ন বাজার, মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থান সমূহে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও স্প্রে করা, তাছাড়াও এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ সদস্যার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে করুনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কোন সদস্য বা তার পরিবার খাদ্য সংকটের মধ্যে আছে কিনা তার খোঁজ খবর নেয়া অব্যাহত আছে বলে জানান ব্র্যাকের ব্রাহ্মণবাড়য়িা-২ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, এই দুর্যোগকালীন সময়ে দরিদ্র কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন পুঁজির অভাবে কোথাও টাকা পাচ্ছে না সে সময় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির (এম আর এ) সকল নিয়ম নীতি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গত মে মাসের ১০ তারিখ থেকে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে ব্র্যাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৩ হাজার ৫৭৩ জন সদস্যকে ৫০ কোটি ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করেছে যা এখনো অব্যাহত আছে।

ব্র্যাকের ব্রাহ্মণবাড়য়িা-১ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মঈনুল হক চৌধুরী জানান অন্যান্য সংস্থাগুলো যেখানে সদস্যেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, সেখানে ব্র্যাক সদস্যদের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত সদস্যেদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় স্থগিত রেখেছে। তাছাড়াও ব্রাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি থেকে হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও নির্যাতিত নারীর মধ্যে ৭৮ জনকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ব্র্যাকের এসব কর্মকান্ডে এলাকার লোকজনসহ সর্ব মহলে প্রসংশিত হচ্ছে বলে জানা যায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ