১০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহে সুরক্ষা ছাড়া বর্জ্য অপসারণ করছে পরিচ্ছন্নকর্মীরা

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ৭ শ’ পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে। রাস্তা, ড্রেন, অলিগলি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন তারা।করোনা পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই বর্জ্য অপসারণের কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (৬ জুলাই)দুপুরে সরেজমিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য জমিয়ে রাখা ঘরে গিয়ে দেখা যায়, পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা প্রতিদিনের মতো হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিকের মেডিক্যাল বর্জ্র অপসারণের কাজ করছে। ওই ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াও অন্যান্য মেডিকেল বর্জ্য অনায়াসে অপসারণ করছে কর্মরত পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
কর্মীদের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন থেকে তাদের জন্য পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি। সুরক্ষা ছাড়া বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নকর্মী এবং তাদের পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মসিকের পরিচ্ছন্নকর্মী পলাশ হরিজন জানান, সম্পূর্ণ সুরক্ষা ছাড়াই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াও অন্যান্য মেডিক্যাল বর্জ্য তাদের অপসারনণ করতে হচ্ছে। সবসময় অাতঙ্কের মধ্যেই তাদের কাজ করতে হয়।

পরিচ্ছন্নকর্মী অন্তর হরিজন জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও ভয়াবহ ঝুঁকিতে থাকা আমাদের মতো কর্মীদের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। জীবিকার তাগিদে একরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ।

এদিকে ময়মনসিংহের সচেতন মহল বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা না করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করায় কর্মীসহ তাদের পরিবারও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে। করোনাকালীন মহামারীতে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বর্জ্য অপসারণের কাজে পাঠানোর আগে অবশ্যই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাব্বত অালী অাজকের বিজনেস বাংলাদেশেকে জানান, বর্জ্য অপসারণের  আগে সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যেন পিপিই সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

ময়মনসিংহে সুরক্ষা ছাড়া বর্জ্য অপসারণ করছে পরিচ্ছন্নকর্মীরা

প্রকাশিত : ০৪:৪৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ৭ শ’ পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে। রাস্তা, ড্রেন, অলিগলি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন তারা।করোনা পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই বর্জ্য অপসারণের কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (৬ জুলাই)দুপুরে সরেজমিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য জমিয়ে রাখা ঘরে গিয়ে দেখা যায়, পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা প্রতিদিনের মতো হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিকের মেডিক্যাল বর্জ্র অপসারণের কাজ করছে। ওই ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াও অন্যান্য মেডিকেল বর্জ্য অনায়াসে অপসারণ করছে কর্মরত পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
কর্মীদের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন থেকে তাদের জন্য পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি। সুরক্ষা ছাড়া বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নকর্মী এবং তাদের পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মসিকের পরিচ্ছন্নকর্মী পলাশ হরিজন জানান, সম্পূর্ণ সুরক্ষা ছাড়াই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ছাড়াও অন্যান্য মেডিক্যাল বর্জ্য তাদের অপসারনণ করতে হচ্ছে। সবসময় অাতঙ্কের মধ্যেই তাদের কাজ করতে হয়।

পরিচ্ছন্নকর্মী অন্তর হরিজন জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও ভয়াবহ ঝুঁকিতে থাকা আমাদের মতো কর্মীদের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। জীবিকার তাগিদে একরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ।

এদিকে ময়মনসিংহের সচেতন মহল বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা না করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করায় কর্মীসহ তাদের পরিবারও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে। করোনাকালীন মহামারীতে পরিচ্ছন্নকর্মীদের বর্জ্য অপসারণের কাজে পাঠানোর আগে অবশ্যই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাব্বত অালী অাজকের বিজনেস বাংলাদেশেকে জানান, বর্জ্য অপসারণের  আগে সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যেন পিপিই সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ