০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

আগের ভাড়ায় ফিরতে চান বাস মালিকরা

করোনাকালের আগের বাস ভাড়ায় ফিরতে চান বাস মালিকরা। সামাজিক দূরত্ব মানতে বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে বাড়ানো ৬০ ভাগ ভাড়ার প্রত্যাহার চান তারা। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছে তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

বুধবার বিকেলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মালিকরা।

মালিক সমিতির নেতারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, বাস ছাড়া সকল ভাড়ায় চালিত পরিবহনে সব আসনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হচ্ছে। তবে অনেক কোম্পানির বাস, লোকাল বাস এ শর্ত মানছে না। বর্ধিত ভাড়ার কারণে একদিকে যাত্রীদের লোকসান হচ্ছে আবার অর্ধেক আসন খালি রাখতে হওয়ায় বাস মালিকেরও লোকসান হচ্ছে।

সব কিছু যেহেতু স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই বাসেও স্বাস্থ্যবিধির শর্ত শিথিল করা উচিত। মালিকরা আগের ভাড়ায় আসন যত যাত্রী তত ব্যবস্থায় ফিরতে চান।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ৬৮ দিন বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। ‘লকডাউন’ শেষে ১ জুন থেকে ১১ শর্তে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। প্রধান শর্ত ছিল অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। এছাড়াও বাসে উঠানোর আগে যাত্রীর হাত ধোয়ানো, প্রতি যাত্রার আগে বাস জীবাণুমক্ত করা, চালক শ্রমিক ও যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার শর্ত দেওয়া হয়।

মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়েছিল। বিআরটিএ ৮০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। পরে আলোচনা সমালোচনার মুখে মন্ত্রণালয় ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করে।

করোনাকালে যাত্রীর ওপর বোঝা চাপানোর অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি করে আসছেন। এখন বাস মালিকরা বাড়তি ভাড়া বাতিল চান। আগের ভাড়ায় ফেরার দাবি তুলেছেন।

তবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত তারা দেননি। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা বিআরটিএ বা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেই। তারা ভাড়া কমাতে পারবেন। কিন্তু অর্ধেক আসন খালি রেখে আগের ভাড়ায় চলা সম্ভব নয়। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুরু মোহাম্মদ মজুমদার চলতি সপ্তাহের শুরুতে সমকালকে একই কথা জানিয়েছিলেন।

খন্দকার এনায়েত জানিয়েছেন, আজকে সভায় আগের ভাড়ায় ও নিয়মে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত দেবে করোনাকালে কীভাবে বাসে যাত্রী পরিবহন করা হবে।

সরকার অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্ত দিলেও ঈদুল আজহার আগে থেকে অধিকাংশ বাসে এ নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। দূরপাল্লার লোকাল বাসে যথেচ্ছা যাত্রী তোলা হচ্ছে। ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। বিআরটিএও এটি স্বীকার করেছে। বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন আটকাতে পারছেন না।

এ কারণে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে। সব আসনে যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, করোনাকাল শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে বিআরটিএ সূত্র।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

আগের ভাড়ায় ফিরতে চান বাস মালিকরা

প্রকাশিত : ০৪:২৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

করোনাকালের আগের বাস ভাড়ায় ফিরতে চান বাস মালিকরা। সামাজিক দূরত্ব মানতে বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে বাড়ানো ৬০ ভাগ ভাড়ার প্রত্যাহার চান তারা। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছে তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

বুধবার বিকেলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মালিকরা।

মালিক সমিতির নেতারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, বাস ছাড়া সকল ভাড়ায় চালিত পরিবহনে সব আসনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হচ্ছে। তবে অনেক কোম্পানির বাস, লোকাল বাস এ শর্ত মানছে না। বর্ধিত ভাড়ার কারণে একদিকে যাত্রীদের লোকসান হচ্ছে আবার অর্ধেক আসন খালি রাখতে হওয়ায় বাস মালিকেরও লোকসান হচ্ছে।

সব কিছু যেহেতু স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই বাসেও স্বাস্থ্যবিধির শর্ত শিথিল করা উচিত। মালিকরা আগের ভাড়ায় আসন যত যাত্রী তত ব্যবস্থায় ফিরতে চান।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ৬৮ দিন বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। ‘লকডাউন’ শেষে ১ জুন থেকে ১১ শর্তে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। প্রধান শর্ত ছিল অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। এছাড়াও বাসে উঠানোর আগে যাত্রীর হাত ধোয়ানো, প্রতি যাত্রার আগে বাস জীবাণুমক্ত করা, চালক শ্রমিক ও যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার শর্ত দেওয়া হয়।

মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়েছিল। বিআরটিএ ৮০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। পরে আলোচনা সমালোচনার মুখে মন্ত্রণালয় ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করে।

করোনাকালে যাত্রীর ওপর বোঝা চাপানোর অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি করে আসছেন। এখন বাস মালিকরা বাড়তি ভাড়া বাতিল চান। আগের ভাড়ায় ফেরার দাবি তুলেছেন।

তবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত তারা দেননি। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা বিআরটিএ বা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেই। তারা ভাড়া কমাতে পারবেন। কিন্তু অর্ধেক আসন খালি রেখে আগের ভাড়ায় চলা সম্ভব নয়। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুরু মোহাম্মদ মজুমদার চলতি সপ্তাহের শুরুতে সমকালকে একই কথা জানিয়েছিলেন।

খন্দকার এনায়েত জানিয়েছেন, আজকে সভায় আগের ভাড়ায় ও নিয়মে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত দেবে করোনাকালে কীভাবে বাসে যাত্রী পরিবহন করা হবে।

সরকার অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্ত দিলেও ঈদুল আজহার আগে থেকে অধিকাংশ বাসে এ নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। দূরপাল্লার লোকাল বাসে যথেচ্ছা যাত্রী তোলা হচ্ছে। ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। বিআরটিএও এটি স্বীকার করেছে। বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন আটকাতে পারছেন না।

এ কারণে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে। সব আসনে যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, করোনাকাল শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে বিআরটিএ সূত্র।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত