১১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ২০ লাখ ইউরো দিলো জার্মানি

বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মানি।

এর ফলে জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বিপদাপন্ন স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করবে সংস্থাটি।

এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম তিনটি পৃথকীকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করবে। ১০০টি মধ্যবর্তীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রকে নতুন করে স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন কেসের জন্য কোয়ারেন্টাইন এবং পৃথকীকরণ কেন্দ্রে পরিণত করবে। ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুবিধার্থে কাজের বিনিময়ে অর্থ (ক্যাশ ফর ওয়ার্ক) প্রকল্পকে সহায়তা জোরদার করবে।

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইওএম-এর কোভিড-১৯ এর সাড়াপ্রদান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনাভাইরাস সম্প্রসারণ প্রতিরোধ ও এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরো প্রসারিত করা জরুরি।’

আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘আমরা জার্মান সরকারের প্রতি এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। তাদের এই সহায়তার ফলে আমরা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তাদের জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে সক্ষম হবো।

তিনি আরো বলেন, ‘এই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা প্রবেশপথসমূহে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখতে পারবো, যাতে করে কর্মকর্তারা অসুস্থ ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য যথাযত উদ্যোগ নিতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশের জন্য সংবরণ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ২০ লাখ ইউরো দিলো জার্মানি

প্রকাশিত : ০৪:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মানি।

এর ফলে জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বিপদাপন্ন স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করবে সংস্থাটি।

এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম তিনটি পৃথকীকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করবে। ১০০টি মধ্যবর্তীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রকে নতুন করে স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন কেসের জন্য কোয়ারেন্টাইন এবং পৃথকীকরণ কেন্দ্রে পরিণত করবে। ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুবিধার্থে কাজের বিনিময়ে অর্থ (ক্যাশ ফর ওয়ার্ক) প্রকল্পকে সহায়তা জোরদার করবে।

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইওএম-এর কোভিড-১৯ এর সাড়াপ্রদান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনাভাইরাস সম্প্রসারণ প্রতিরোধ ও এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরো প্রসারিত করা জরুরি।’

আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘আমরা জার্মান সরকারের প্রতি এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। তাদের এই সহায়তার ফলে আমরা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তাদের জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে সক্ষম হবো।

তিনি আরো বলেন, ‘এই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা প্রবেশপথসমূহে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখতে পারবো, যাতে করে কর্মকর্তারা অসুস্থ ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য যথাযত উদ্যোগ নিতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশের জন্য সংবরণ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত