মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু। সময়টা ছিল নব্বই দশকের শেষদিকে। সেখানে বাজিমাত করে নাম লেখান নাটক-টেলিছবির অভিনয়ে। এরপর আসেন সিনেমায়। পরের গল্পটা কেবলই সাফল্যের। একের এক পর চমক দেখিয়ে চলেছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে।
তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা অভিনয়শিল্পী আর অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী বললে ভুল হবে না। তিনি পদ্মাপাড়ের নায়িকা। আবার গঙ্গাপাড়েও ঝড় তোলেন। কেননা তিনি তার অভিনয় দক্ষতা ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার আপামর দর্শক মহলকে।
ইশ! নামটাই বলা হলো না। অবশ্য বলার আগেই বুঝে গেছেন যে কার কথা বলা হচ্ছে। জয়া আহসান! আজ সেই প্রিয়মুখ জয়া আহসানের জন্মদিন। এদিনে জেনে নিন তার সেরা দশের গল্প-
গেরিলা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বামীকে হারান বিলকিস বানু (জয়া আহসান)। স্বামী হারানোর বেদনার কাছে নত না হয়ে ঢাকায় গেরিলা বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সালে ১০টি ক্যাটেগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে গেরিলা।
দেবী
হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় মিসির আলী সিরিজের গল্প অবলম্বনে তৈরী প্রথম চলচ্চিত্র দেবী। কেন্দ্রীয় চরিত্র রানুকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাবলীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে চলচ্চিত্রটির গল্প। এই ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ২০১৮ সালে বাচশাস পুরস্কার জেতেন জয়া।
বিজয়া
কৌশিক গাঙ্গুলীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী বিসর্জন চলচ্চিত্রের সিকুয়েল এটি। আবীর চট্টোপাধ্যায় ও জয়া আহসান ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
খাঁচা
হাসান আজিজুল হকের “একই নামের গল্প” অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটিতে ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের প্রেক্ষাপটে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারের পাকিস্তান থেকে ভারতে যাওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ থেকে অস্কারে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়।
ডুবসাঁতার
নুরুল আলম আতিক পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটির গল্প আবর্তিত হয়েছে এক সমাজকর্মী ও একজন মাদকাসক্তের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে। পরীক্ষণমূলক এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের কাজ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান।
বিনি সুতোয়
একটি রিয়েলিটি গেম শোয়ের অডিশনে পরিচয় হয় কাজল ও শ্রাবনীর। একে অপরকে একটু একটু করে চিনতে থাকে তারা দু’জন। অতনু ঘোষ এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন।
বিসর্জন
এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাথে বাংলাদেশি এক বিধরা নারীর ভালোবাসার গল্পের মধ্যে দিয়ে আবর্তিত হয়েছে চলচ্চিত্রটির কাহিনী। এটি শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে।
রবিবার
১৫ বছর পর কোনো এক রবিবারে কর্পোরেট ফার্মের আইনজীবী সায়নীর (জয়া আহসান) সাথে তার সাবেক প্রেমিকের দেখা হয়। অতনু ঘোষ পরিচালিত এই ছবিটি “বেঙ্গলি ক্যাটেগরি অব দ্য ক্রিটিকস চয়েস ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে” শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার জেতে।
আবর্ত
সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করা কালজয়ী সব চরিত্রদের বিশেষ সম্মান জানানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একজনের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের দ্বন্দ্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
সিটি অব লাভ
ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত এই ছবিতে কলকাতায় হিন্দু এক তরুণীকে মুসলিম এক যুবকের বিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের টিকে থাকার যুদ্ধ তুলে ধরা হয়েছে। এক পর্যায়ে নতুন জীবনের সন্ধানে তারা দুজন সিরিয়ায় পাড়ি জমায়।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত