০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

‘আফ্রিদি মিথ্যুক, চালবাজ, চরিত্রহীন’

পুরনো বিষয় নতুন করে সামনে আনলেন পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়া। এর আগে শহীদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার একই ইস্যুতে আফ্রিদিকে মিথ্যুক, চরিত্রহীন ও ষড়যন্ত্রকারী বললেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটার কানেরিয়া।
বৃহস্পতিবার নিউজ এজেন্সি আইএএনএসকে কানেরিয়া বলেন, ‘শোয়েব আখতারই প্রথম ব্যক্তি যে কিনা বিষয়টি প্রকাশ করেছে। হিন্দু বলে আমাকে অবহেলা করা হয়েছে এই সত্য প্রকাশের জন্য তাকে ধন্যবাদ। উপরের মহলের চাপে সে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এটাই সত্যি। আফ্রিদি সবসময় আমাকে অপমান করতো। আমরা দুজন একই ডিপার্টমেন্টে খেলতাম। সে আমাকে বসিয়ে রাখতো। ওয়ানডে খেলতে দিতো না।’
পাকিস্তানের হয়ে ১৮টি ওয়ানডে খেলা কানেরিয়ার দাবি আফ্রিদির কারণেই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি

কানেরিয়া বলেন, ‘সে আমাকে দলে দেখতে চাইতো না। আফ্রিদি মিথ্যাবাদী, চালবাজ। কারণ সে চরিত্রহীন। ওসবে পাত্তা না দিয়েই আমি শুধু ক্রিকেটে মনোযোগী ছিলাম। আফ্রিদিই একমাত্র লোক যে আমার ব্যাপারে অন্যের কানে কুমন্ত্রণা দিতো। আমার ভালো পারফরম্যান্সে সে ঈর্ষান্বিত ছিল। আমি গর্বিত যে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি। আমি কৃতজ্ঞ।’
পাকিস্তানি স্পিনারদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক উইকেট কানেরিয়ার। ৬১ ম্যাচে ২৬১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে লাল বলে তার চাইতে বেশি উইকেট আছে শুধু ওয়াসিম আকরাম (৪১৪), ওয়াকার ইউনুস (৩৭৩) ও ইমরান খানের (৩৬২)।
২০০৯ সালে কাউন্টি লীগে স্পট-ফিক্সিং করা অভিযোগে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ২০১২তে কানেরিয়াকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। তখন ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করছেন কানেরিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। ওই কাণ্ডে জড়িত একজনের সঙ্গে আমার নামও জুড়ে দেয়া হয়। ওই ব্যক্তি ছিল আফ্রিদিসহ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বন্ধু। আমি জানি না কেন আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হলো। আমি পিসিবিকে অনুরোধ করছি আমার নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেয়। যাতে আমি শান্তিতে কাজ করতে পারি। অনেক ফিক্সারের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে তুলে নেয়া হয়েছে। আমি কি দোষ করলাম? আমি দেশের হয়ে খেলেছি আমাকে অন্তত একটা সুযোগ দেয়া উচিত। আমি জাতীয় দলে আর খেলতে পারবো না ঠিক, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে শান্তিতে থাকতে পারবো।’
কানেরিয়ার নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে এর আগে পিসিবিকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানায়, এটি ইংল্যান্ড বোর্ডের ব্যাপার। এতে তাদের কোনো এখতিয়ার নেই।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

‘আফ্রিদি মিথ্যুক, চালবাজ, চরিত্রহীন’

প্রকাশিত : ০৪:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

পুরনো বিষয় নতুন করে সামনে আনলেন পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়া। এর আগে শহীদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার একই ইস্যুতে আফ্রিদিকে মিথ্যুক, চরিত্রহীন ও ষড়যন্ত্রকারী বললেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটার কানেরিয়া।
বৃহস্পতিবার নিউজ এজেন্সি আইএএনএসকে কানেরিয়া বলেন, ‘শোয়েব আখতারই প্রথম ব্যক্তি যে কিনা বিষয়টি প্রকাশ করেছে। হিন্দু বলে আমাকে অবহেলা করা হয়েছে এই সত্য প্রকাশের জন্য তাকে ধন্যবাদ। উপরের মহলের চাপে সে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এটাই সত্যি। আফ্রিদি সবসময় আমাকে অপমান করতো। আমরা দুজন একই ডিপার্টমেন্টে খেলতাম। সে আমাকে বসিয়ে রাখতো। ওয়ানডে খেলতে দিতো না।’
পাকিস্তানের হয়ে ১৮টি ওয়ানডে খেলা কানেরিয়ার দাবি আফ্রিদির কারণেই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি

কানেরিয়া বলেন, ‘সে আমাকে দলে দেখতে চাইতো না। আফ্রিদি মিথ্যাবাদী, চালবাজ। কারণ সে চরিত্রহীন। ওসবে পাত্তা না দিয়েই আমি শুধু ক্রিকেটে মনোযোগী ছিলাম। আফ্রিদিই একমাত্র লোক যে আমার ব্যাপারে অন্যের কানে কুমন্ত্রণা দিতো। আমার ভালো পারফরম্যান্সে সে ঈর্ষান্বিত ছিল। আমি গর্বিত যে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি। আমি কৃতজ্ঞ।’
পাকিস্তানি স্পিনারদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক উইকেট কানেরিয়ার। ৬১ ম্যাচে ২৬১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে লাল বলে তার চাইতে বেশি উইকেট আছে শুধু ওয়াসিম আকরাম (৪১৪), ওয়াকার ইউনুস (৩৭৩) ও ইমরান খানের (৩৬২)।
২০০৯ সালে কাউন্টি লীগে স্পট-ফিক্সিং করা অভিযোগে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ২০১২তে কানেরিয়াকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। তখন ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করছেন কানেরিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। ওই কাণ্ডে জড়িত একজনের সঙ্গে আমার নামও জুড়ে দেয়া হয়। ওই ব্যক্তি ছিল আফ্রিদিসহ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বন্ধু। আমি জানি না কেন আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হলো। আমি পিসিবিকে অনুরোধ করছি আমার নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেয়। যাতে আমি শান্তিতে কাজ করতে পারি। অনেক ফিক্সারের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে তুলে নেয়া হয়েছে। আমি কি দোষ করলাম? আমি দেশের হয়ে খেলেছি আমাকে অন্তত একটা সুযোগ দেয়া উচিত। আমি জাতীয় দলে আর খেলতে পারবো না ঠিক, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে শান্তিতে থাকতে পারবো।’
কানেরিয়ার নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে এর আগে পিসিবিকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানায়, এটি ইংল্যান্ড বোর্ডের ব্যাপার। এতে তাদের কোনো এখতিয়ার নেই।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ