০৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

প্রথম দিকে ১০ মিনিট পর পর চলবে মেট্রোরেল

ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, প্রথমে ১০টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করা হবে। প্রথম দিন ১০ মিনিট পর পর ট্রেন চালু করবো। দ্বিতীয় দিন হয়তো আমরা ৭ মিনিটে নামিয়ে আনবো। ক্রমান্বয়ে যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতক্ষণ পর পর ট্রেন ছাড়বো। অনেক বেশি যাত্রী অপেক্ষমান থাকলে আমরা সাড়ে ৩ মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়বো। ফজরের নামাজের সময় থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৬-এর সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।’

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার কাজ হাতে নিয়েছি। আমাদের সেখানে ইউটিলিটি সার্ভে চলছে। সেটি শেষ হলেই পূর্ত কাজের জন্য যাদের নিয়োগ করার কথা, সেটা আমরা নিয়োগ করবো।’
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এমআরটি লাইন চালু করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পূর্ত কাজের পর আমাদের কাজ অপারেশনের দিকে। একটি ট্রেন আসার পর বিভিন্ন ধাপে যে টেস্টগুলো আছে সেগুলো করে থাকি। ট্রেন আসতেই থাকবে এবং টেস্টগুলো অনবরত চলতে থাকবে। আগারগাঁও পর্যন্ত আমাদের যতগুলো ফাংশনাল টেস্ট করার কথা ছিল সব শেষ হয়েছে। পারফরমেন্স টেস্ট প্রায় শেষ। ১ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শুরু করবো। এই টেস্ট সর্বোচ্চ তিন মাস লাগতে পারে। তবে তার আগেও শেষ হয়ে যেতে পারে। আমরা সিম্যুলেটর সংগ্রহ করেছি। সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। যারা ট্রেন অপারেটর তাদের সিম্যুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে ১ অক্টোবর।’

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে চালুর লক্ষ্যে দুটি বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। একটি ইন্টিগ্রেশন টেস্ট, আরেকটি ড্রাইভিং অন সিম্যুলেটর। এরপর আমরা যাত্রীবিহীন চলাচল পরীক্ষা করবো। এটি আমরা ১৫-২০ দিন করবো। তারপর আমরা প্রত্যাশিত যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করতে পারবো।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

প্রথম দিকে ১০ মিনিট পর পর চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত : ০৩:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, প্রথমে ১০টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করা হবে। প্রথম দিন ১০ মিনিট পর পর ট্রেন চালু করবো। দ্বিতীয় দিন হয়তো আমরা ৭ মিনিটে নামিয়ে আনবো। ক্রমান্বয়ে যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতক্ষণ পর পর ট্রেন ছাড়বো। অনেক বেশি যাত্রী অপেক্ষমান থাকলে আমরা সাড়ে ৩ মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়বো। ফজরের নামাজের সময় থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৬-এর সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।’

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার কাজ হাতে নিয়েছি। আমাদের সেখানে ইউটিলিটি সার্ভে চলছে। সেটি শেষ হলেই পূর্ত কাজের জন্য যাদের নিয়োগ করার কথা, সেটা আমরা নিয়োগ করবো।’
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এমআরটি লাইন চালু করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পূর্ত কাজের পর আমাদের কাজ অপারেশনের দিকে। একটি ট্রেন আসার পর বিভিন্ন ধাপে যে টেস্টগুলো আছে সেগুলো করে থাকি। ট্রেন আসতেই থাকবে এবং টেস্টগুলো অনবরত চলতে থাকবে। আগারগাঁও পর্যন্ত আমাদের যতগুলো ফাংশনাল টেস্ট করার কথা ছিল সব শেষ হয়েছে। পারফরমেন্স টেস্ট প্রায় শেষ। ১ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা ইন্টিগ্রেশন টেস্ট শুরু করবো। এই টেস্ট সর্বোচ্চ তিন মাস লাগতে পারে। তবে তার আগেও শেষ হয়ে যেতে পারে। আমরা সিম্যুলেটর সংগ্রহ করেছি। সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। যারা ট্রেন অপারেটর তাদের সিম্যুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে ১ অক্টোবর।’

তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে চালুর লক্ষ্যে দুটি বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। একটি ইন্টিগ্রেশন টেস্ট, আরেকটি ড্রাইভিং অন সিম্যুলেটর। এরপর আমরা যাত্রীবিহীন চলাচল পরীক্ষা করবো। এটি আমরা ১৫-২০ দিন করবো। তারপর আমরা প্রত্যাশিত যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করতে পারবো।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব