০৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ভাঙ্গনে শ্রীহীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকত

ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অতি ভাঙ্গণের কারণে বিশ্বের দীর্ঘতন সমুদ্র সৈকত আজ শ্রীহীন। যার কারণে সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট বর্তমানে দেয়া হয়েছে জিওব্যাগ। ওইসব জিওব্যাগেও আঘাত হানছে সমুদ্রের ঢেউ। তাই জিওব্যাগও রক্ষা করতে পারছে না সমুদ্র সৈকতকে ভাঙ্গনের কবল থেকে।

সাগর পাড়ের স্থানীয়রা জানানা, উচ্চ জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে ভাসছে সৈকত পাড়ে দেয়া জিওব্যাগ। ঢেউয়ের আঘাতে জিওব্যাগের নিচ থেকে সরে যাচ্ছে বালি। নিচতলা হালকা হয়ে যাওয়া জিওব্যাগও ছিঁড়ে যাচ্ছে। এখন আর সেই আগের সৈকত নেই। শ্রীহীন হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মালেক-ডেজি নামের এক দম্পতি জানান, কক্সবাজারে আগের সৈকত নেই। ঝাউবীথি হিমেল বাতাস এখন আর গাঁয়ে লাগে না। দালানের ভিড়ে গাছপালা উদাও। অন্যদিকে আবার সৈকতের বালিয়াড়িও দেখা যায় না। চাপা পড়ছে জিওব্যাগের নিচে। লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটতে হয়। ছিঁড়েফাটা জিওব্যাগগুলো সৈকতের সৌন্দর্য্যকে শ্রীহীন করে তুলেছে।

হিমেল নামের এক ব্যক্তি জানান, বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কারণে চলাফেরাও করতে পারছেন না পর্যটকরা। অনেকাংশে দেখা যাচ্ছে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যাগে পর্যটকরা যাতে প্রাথমিকভাবে চলাফেরা করতে পারে তার জন্য বালি সমান করে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। তারা জানান, পর্যটকদের চলাফেরা করার জন্য বালি ফেলা হচ্ছে। না হয় পর্যটক আর লাবনী পয়েন্টে আসবে না। বন্ধ হয়ে যাবে ব্যবসাও।

জেলার সচেতন মহলের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে রক্ষার জন্য যা করা হচ্ছে তা নিতান্তই অস্থায়ী বাঁধ। এই বাঁধ সমুদ্র সৈকতে শ্রীহীন করে তুলছে। এই কাজকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা উচিৎ। স্থায়ী বাঁধ দিয়ে সৈকতে রক্ষা করতে পারলে সমুদ্রের শ্রীবৃদ্ধি পাবে। পর্যটক সমাগম বৃদ্ধি পাবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

ভাঙ্গনে শ্রীহীন হচ্ছে কক্সবাজার সৈকত

প্রকাশিত : ০৪:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। অতি ভাঙ্গণের কারণে বিশ্বের দীর্ঘতন সমুদ্র সৈকত আজ শ্রীহীন। যার কারণে সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট বর্তমানে দেয়া হয়েছে জিওব্যাগ। ওইসব জিওব্যাগেও আঘাত হানছে সমুদ্রের ঢেউ। তাই জিওব্যাগও রক্ষা করতে পারছে না সমুদ্র সৈকতকে ভাঙ্গনের কবল থেকে।

সাগর পাড়ের স্থানীয়রা জানানা, উচ্চ জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে ভাসছে সৈকত পাড়ে দেয়া জিওব্যাগ। ঢেউয়ের আঘাতে জিওব্যাগের নিচ থেকে সরে যাচ্ছে বালি। নিচতলা হালকা হয়ে যাওয়া জিওব্যাগও ছিঁড়ে যাচ্ছে। এখন আর সেই আগের সৈকত নেই। শ্রীহীন হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট।

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মালেক-ডেজি নামের এক দম্পতি জানান, কক্সবাজারে আগের সৈকত নেই। ঝাউবীথি হিমেল বাতাস এখন আর গাঁয়ে লাগে না। দালানের ভিড়ে গাছপালা উদাও। অন্যদিকে আবার সৈকতের বালিয়াড়িও দেখা যায় না। চাপা পড়ছে জিওব্যাগের নিচে। লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটতে হয়। ছিঁড়েফাটা জিওব্যাগগুলো সৈকতের সৌন্দর্য্যকে শ্রীহীন করে তুলেছে।

হিমেল নামের এক ব্যক্তি জানান, বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কারণে চলাফেরাও করতে পারছেন না পর্যটকরা। অনেকাংশে দেখা যাচ্ছে, পর্যটন ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যাগে পর্যটকরা যাতে প্রাথমিকভাবে চলাফেরা করতে পারে তার জন্য বালি সমান করে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। তারা জানান, পর্যটকদের চলাফেরা করার জন্য বালি ফেলা হচ্ছে। না হয় পর্যটক আর লাবনী পয়েন্টে আসবে না। বন্ধ হয়ে যাবে ব্যবসাও।

জেলার সচেতন মহলের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে রক্ষার জন্য যা করা হচ্ছে তা নিতান্তই অস্থায়ী বাঁধ। এই বাঁধ সমুদ্র সৈকতে শ্রীহীন করে তুলছে। এই কাজকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা উচিৎ। স্থায়ী বাঁধ দিয়ে সৈকতে রক্ষা করতে পারলে সমুদ্রের শ্রীবৃদ্ধি পাবে। পর্যটক সমাগম বৃদ্ধি পাবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব