১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

”কুয়াকাটা সৈকতে ছুটিতে পর্যটকদের ভীড় চোখে পড়ার মতো”

কুয়াকাটায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী, সাপ্তাহিক ছুটি ও দূর্গা পূজা ঘিরে হাজারো পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়ে মুখরিত সমুদ্র সৈকত। ১ সপ্তাহের আগাম বুকিং হয়ে গেছে আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো। রুম সংকট দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে একটানা পর্যটক রয়েছে সমুদ্র সৈকতে। এ ভীড় থাকবে আগামী রোববার পর্যন্ত এমনটা জানান আবাসিক হোটেল-মোটেল সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও পর্যটকদের যেন উৎসাহ-উদ্দিপনার কোন শেষ নেই।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিনিয়ত ভীড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিন গুলোতে তীল ধারনের ঠাই পাওয়া যায় না। আগে যেখানে ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা পর্যটকদের আগমন ছিল না। সেখানে এখন প্রতিনিয়ত পর্যটক থাকছে। আর এতে খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়িরা। আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবার হোটেল, বার্মিজ মার্কেট, শুটকী মার্কেট, ফিস ফ্রাই মার্কেট সব জায়গায়ই ভীড় দেখা গেছে। দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা।

পর্যটন করপোরেশনের মোটেল যুব পান্থ নিবাস সুত্রে জানা যায়, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুব পান্থ নিবাস অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেকেই রুমের জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করছেন। রুম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন বলে জানান যুব পান্থ নিবাস কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানায়, তাদের হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। সবগুলো রুমই আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রুমের জন্য যোগাযোগ করছে।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেলগুলোর বেশিরভাগ রুমই আগাম বুকিং রয়েছে। তবে এসি রুমের চাহিদা বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত এসি রুম না থাকায় চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছে না।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ: খালেক জানান, সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি দূর্গা পুজাকে ঘিরে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটছে। ৫ তারিখ থেকে আরো ভীড় বাড়বে। পর্যটকদের এ ভীড়কে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নিরাপত্তাজনিত কারনে যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন না হয় সেই দিকে কঠোর নজরদারী রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

”কুয়াকাটা সৈকতে ছুটিতে পর্যটকদের ভীড় চোখে পড়ার মতো”

প্রকাশিত : ০৫:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

কুয়াকাটায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী, সাপ্তাহিক ছুটি ও দূর্গা পূজা ঘিরে হাজারো পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়ে মুখরিত সমুদ্র সৈকত। ১ সপ্তাহের আগাম বুকিং হয়ে গেছে আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো। রুম সংকট দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে একটানা পর্যটক রয়েছে সমুদ্র সৈকতে। এ ভীড় থাকবে আগামী রোববার পর্যন্ত এমনটা জানান আবাসিক হোটেল-মোটেল সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও পর্যটকদের যেন উৎসাহ-উদ্দিপনার কোন শেষ নেই।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিনিয়ত ভীড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিন গুলোতে তীল ধারনের ঠাই পাওয়া যায় না। আগে যেখানে ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা পর্যটকদের আগমন ছিল না। সেখানে এখন প্রতিনিয়ত পর্যটক থাকছে। আর এতে খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়িরা। আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবার হোটেল, বার্মিজ মার্কেট, শুটকী মার্কেট, ফিস ফ্রাই মার্কেট সব জায়গায়ই ভীড় দেখা গেছে। দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা।

পর্যটন করপোরেশনের মোটেল যুব পান্থ নিবাস সুত্রে জানা যায়, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুব পান্থ নিবাস অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেকেই রুমের জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করছেন। রুম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন বলে জানান যুব পান্থ নিবাস কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানায়, তাদের হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। সবগুলো রুমই আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রুমের জন্য যোগাযোগ করছে।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক হোটেলগুলোর বেশিরভাগ রুমই আগাম বুকিং রয়েছে। তবে এসি রুমের চাহিদা বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত এসি রুম না থাকায় চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছে না।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ: খালেক জানান, সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি দূর্গা পুজাকে ঘিরে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটছে। ৫ তারিখ থেকে আরো ভীড় বাড়বে। পর্যটকদের এ ভীড়কে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকরা ভ্রমণে এসে নিরাপত্তাজনিত কারনে যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন না হয় সেই দিকে কঠোর নজরদারী রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব