০১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

লালমনিরহাটে সিত্রাংয়ের প্রভাবে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি!

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে লালমনিরহাটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে দমকা বাতাসসহ ঝড়-বৃষ্টি। এতে কৃষকদের রোপা আমন ধান, মুলা, বেগুন, কলা বাগান, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অসময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে জমির উঠতি ফসল মাটিতে নুয়ে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানে। সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে জেলা সদরের উপজেলাসহ ৫টি উপজেলাতে সারাদিনই থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বয়। ফলে চলতি মৌসুমে কৃষি নির্ভরশীল জেলা লালমনিরহাটে কৃষকদের রোপা আমন ধান, মুলা, বেগুন, কলা বাগান, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের আমন ধান চাষী মহেশ্বর রায় বলেন, আমার ধান ক্ষেতে আধাপাকা হয়েছে। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তাই, দুশ্চিন্তায় আছি। ঝড়ে কৃষি অফিসের কোন লোক আমাদের ফসলের খোঁজ-খবর ও পরার্মশ দিতে আসেনি।

কুলাঘাট ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই একর জমিতে ধান আধা পাকা হয়েছে, কিন্তু হঠাৎ ঝরে কবলে পরে ধানগুলো মাঠিতে লুয়ে পড়েছে তাই দুর্চিন্তায় আছি। এখনো জানিনা কি পরিমান ক্ষতি হবে। আদিতমারী ভেলাবাড়ী এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, সিত্রাং হওয়ার কারনে আমার এক একর মাটির ফুল কপি নষ্ট হয়ে গেলো। অনেক ঋন করে খুব কষ্ট করে কপি চাষাবাদ করেছি, এখন কি হবে চিন্তায় বাচিনা। মানুষের ঋন পরিষদ করবো কি ভাবে এটাই ভাবছি।

সদরের বড়বাড়ি আমবাড়ি এলাকার কৃষক কপিল উদ্দিন বলেন, ধান আবাদের পাশাপাশি আমি বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করি প্রতি বছর। এবারও বেগুন, মুলা ও বিভিন্ন শাক লাগিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমার ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, জানিনা কি ভাবে তা পুষিয়ে উঠবো। হঠাৎ ঝর বাতাসে খুব ক্ষতির মূখে পড়লাম।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, জেলা সদর সহ উপজেলার বেশি কিছু এলাকায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি এলাকায় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খোঁজ-খবর নিচ্ছে। ২/৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

লালমনিরহাটে সিত্রাংয়ের প্রভাবে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি!

প্রকাশিত : ০৩:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে লালমনিরহাটের উপর দিয়ে বয়ে গেছে দমকা বাতাসসহ ঝড়-বৃষ্টি। এতে কৃষকদের রোপা আমন ধান, মুলা, বেগুন, কলা বাগান, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অসময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে জমির উঠতি ফসল মাটিতে নুয়ে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানে। সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে জেলা সদরের উপজেলাসহ ৫টি উপজেলাতে সারাদিনই থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বয়। ফলে চলতি মৌসুমে কৃষি নির্ভরশীল জেলা লালমনিরহাটে কৃষকদের রোপা আমন ধান, মুলা, বেগুন, কলা বাগান, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের আমন ধান চাষী মহেশ্বর রায় বলেন, আমার ধান ক্ষেতে আধাপাকা হয়েছে। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তাই, দুশ্চিন্তায় আছি। ঝড়ে কৃষি অফিসের কোন লোক আমাদের ফসলের খোঁজ-খবর ও পরার্মশ দিতে আসেনি।

কুলাঘাট ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই একর জমিতে ধান আধা পাকা হয়েছে, কিন্তু হঠাৎ ঝরে কবলে পরে ধানগুলো মাঠিতে লুয়ে পড়েছে তাই দুর্চিন্তায় আছি। এখনো জানিনা কি পরিমান ক্ষতি হবে। আদিতমারী ভেলাবাড়ী এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, সিত্রাং হওয়ার কারনে আমার এক একর মাটির ফুল কপি নষ্ট হয়ে গেলো। অনেক ঋন করে খুব কষ্ট করে কপি চাষাবাদ করেছি, এখন কি হবে চিন্তায় বাচিনা। মানুষের ঋন পরিষদ করবো কি ভাবে এটাই ভাবছি।

সদরের বড়বাড়ি আমবাড়ি এলাকার কৃষক কপিল উদ্দিন বলেন, ধান আবাদের পাশাপাশি আমি বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করি প্রতি বছর। এবারও বেগুন, মুলা ও বিভিন্ন শাক লাগিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমার ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, জানিনা কি ভাবে তা পুষিয়ে উঠবো। হঠাৎ ঝর বাতাসে খুব ক্ষতির মূখে পড়লাম।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, জেলা সদর সহ উপজেলার বেশি কিছু এলাকায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি এলাকায় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খোঁজ-খবর নিচ্ছে। ২/৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব