০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় ১২ হাজার থ্রি-হুইলার আটক

কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে এই অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। চলতি বছরে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা ১২ হাজার নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার আটক করে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

সূত্র জানায়, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহাসড়ক সংলগ্ন ২৮২টি ফিডার রোডের মাথায় সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা কর্তৃক মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ লাখ ২০ হাজার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে এবং এই কার্যক্রম ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও জন-সমাগমস্থলে সিএনজি ও থ্রি-হুইলার বিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে।

সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোন সার্ভিস লেন নেই। যার ফলে স্বল্প দূরত্বে চলাছলকারী যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহন দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন মস্তাপুর নামকস্থানে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মহাসড়কের উত্তর রামপুর ইউটার্ন থেকে উল্টা পথে ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যেতে হচ্ছে। মহাসড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৮২ টি ফিডার রোড ও প্রায় ১০০টি সিএনজি পাম্প/স্টেশন রয়েছে মহাসড়কের উপরে।

এছাড়াও অসংখ্য হাট-বাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাস-স্টপেজ, হাসপাতাল ও শিল্প কারখানাসহ নানা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান হাইওয়ের উপরে। এসব স্থানে আসা-যাওয়াকারী বেশীর ভাগ মানুষেরই চলাচলের মাধ্যম থ্রি-হুইলার এমনকি রিকশা-ভ্যানও। বিকল্প কোনো নিরাপদ গনপরিবহন না থাকায় লোকজন নিরুপায় হয়ে এসব যানবাহনে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মহাসড়ক নির্মাণ করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী লোকজনের চলাচলে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা। মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে সার্ভিস লেইন করার পর্যাপ্ত স্থান রয়েছে। উদ্যোগ নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করা হলে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সফলতার জন্য দরকার জনসচেতনতা ও স্বল্প দুরত্বে চলাচলের জন্য নিরাপদ গনপরিবহন। তবে বাস্তবতার নিরীখে অত্র মহাসড়কে স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য সার্ভিস লেন করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

কুমিল্লায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় ১২ হাজার থ্রি-হুইলার আটক

প্রকাশিত : ০৩:২৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে এই অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। চলতি বছরে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা ১২ হাজার নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার আটক করে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

সূত্র জানায়, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহাসড়ক সংলগ্ন ২৮২টি ফিডার রোডের মাথায় সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা কর্তৃক মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ লাখ ২০ হাজার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে এবং এই কার্যক্রম ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও জন-সমাগমস্থলে সিএনজি ও থ্রি-হুইলার বিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে।

সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোন সার্ভিস লেন নেই। যার ফলে স্বল্প দূরত্বে চলাছলকারী যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহন দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে। মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন মস্তাপুর নামকস্থানে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মহাসড়কের উত্তর রামপুর ইউটার্ন থেকে উল্টা পথে ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যেতে হচ্ছে। মহাসড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৮২ টি ফিডার রোড ও প্রায় ১০০টি সিএনজি পাম্প/স্টেশন রয়েছে মহাসড়কের উপরে।

এছাড়াও অসংখ্য হাট-বাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাস-স্টপেজ, হাসপাতাল ও শিল্প কারখানাসহ নানা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান হাইওয়ের উপরে। এসব স্থানে আসা-যাওয়াকারী বেশীর ভাগ মানুষেরই চলাচলের মাধ্যম থ্রি-হুইলার এমনকি রিকশা-ভ্যানও। বিকল্প কোনো নিরাপদ গনপরিবহন না থাকায় লোকজন নিরুপায় হয়ে এসব যানবাহনে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মহাসড়ক নির্মাণ করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী লোকজনের চলাচলে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা। মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে সার্ভিস লেইন করার পর্যাপ্ত স্থান রয়েছে। উদ্যোগ নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করা হলে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সফলতার জন্য দরকার জনসচেতনতা ও স্বল্প দুরত্বে চলাচলের জন্য নিরাপদ গনপরিবহন। তবে বাস্তবতার নিরীখে অত্র মহাসড়কে স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য সার্ভিস লেন করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব