১২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

মশার ওষুধ কেনাকাটার অনিয়মে তদন্ত কমিটি গঠন চসিক

দরপত্র ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৭ লাখ টাকার মশার ওষুধ কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ১৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্ন বিভাগের কেনা মশার ওষুধ নিয়ে দুদকের অভিযান পরিচালনা ও এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হলো।’

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক যেসব মশার ওষুধ কেনার নথির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তদন্ত কমিটি সেগুলো খতিয়ে দেখবে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, হলে কারা কারা জড়িত- এসব বিষয় দেখবেন তারা। প্রতিবেদনে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কেনাকাটা রোধে সুপারিশ করবে কমিটি।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মশার ওষুধ কেনা-কাটার দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।

টাইগারপাসস্থ চসিক প্রধান কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিচ্ছন্ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন দুদক কর্মকর্তারা। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের নথিপত্র যাচাই করে তারা দেখেন ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতা অরভিন সাকিব ইভানের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল মার্ক ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। তারা জানান, সরকারি ক্রয়-বিধি অনুযায়ী পাঁচ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করতে হলে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করতে হয়।

কিন্তু পছন্দের ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দিতে কেনাকাটা পাঁচ লাখ টাকার নিচে রাখতে ১৬ লটে ভাগ করে এসব ওষুধ কেনা হয়। অথচ সরকারি ক্রয়-বিধি অনুযায়ী কেনাকাটা শুধু অতি জরুরি বা প্রয়োজনীয় পণ্য, কার্য এবং সেবা ক্রয় করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অসাধু কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে বারবার এই সুযোগ ব্যবহার করে আসছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

মশার ওষুধ কেনাকাটার অনিয়মে তদন্ত কমিটি গঠন চসিক

প্রকাশিত : ১০:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দরপত্র ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৭ লাখ টাকার মশার ওষুধ কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ১৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্ন বিভাগের কেনা মশার ওষুধ নিয়ে দুদকের অভিযান পরিচালনা ও এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হলো।’

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক যেসব মশার ওষুধ কেনার নথির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তদন্ত কমিটি সেগুলো খতিয়ে দেখবে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, হলে কারা কারা জড়িত- এসব বিষয় দেখবেন তারা। প্রতিবেদনে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কেনাকাটা রোধে সুপারিশ করবে কমিটি।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মশার ওষুধ কেনা-কাটার দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।

টাইগারপাসস্থ চসিক প্রধান কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিচ্ছন্ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন দুদক কর্মকর্তারা। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের নথিপত্র যাচাই করে তারা দেখেন ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতা অরভিন সাকিব ইভানের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল মার্ক ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। তারা জানান, সরকারি ক্রয়-বিধি অনুযায়ী পাঁচ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করতে হলে উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করতে হয়।

কিন্তু পছন্দের ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দিতে কেনাকাটা পাঁচ লাখ টাকার নিচে রাখতে ১৬ লটে ভাগ করে এসব ওষুধ কেনা হয়। অথচ সরকারি ক্রয়-বিধি অনুযায়ী কেনাকাটা শুধু অতি জরুরি বা প্রয়োজনীয় পণ্য, কার্য এবং সেবা ক্রয় করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অসাধু কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে বারবার এই সুযোগ ব্যবহার করে আসছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব