০৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

আনোয়ারায় বন্যহাতি ক্ষতিপূরণ মিলবে কবে, চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্তরা

দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকায় ( “বন্যহাতির আক্রমণে হারাচ্ছে নিরীহ প্রান বন্যহাতি নিয়ে রমরমা সিন্ডিকেট ব্যবসা সাথে জড়িত প্রশাসন ও বনবিভাগ”) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলা বন্যহাতি আক্রমণের ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ফাইলের স্বাক্ষর আটকে রাখেন আনোয়ারা উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের শেখ জোবারয় আহমেদ।

জানা যায়, ১০ বছর যাবৎ দেয়াং পাহাড়ের অবস্থান করা বন্যহাতি দলটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় হলে লোকালয়ে নেমে তান্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে।স্থানীয়দের দাবি আরো কতোজন মানুষ নিহত আর আহত হলে বনবিভাগ এবং প্রশাসন বন্যহাতির সারানো জন্য উদ্যােগ গ্রহণ করবে।

অনুসন্ধান জানা যায়,পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করার পর আনোয়ারা সাবেক ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইলের স্বাক্ষর আটকে রেখে সরেজমিনে তদন্ত করে স্বাক্ষর করবে বলে জানান। একটি চক্রু ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আর দেওয়া হবে না বলে এলাকায় নানা মিথ্যা তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুশীল সমাজের নাগরিকগণ এই বিভ্রান্ত থেকে মুক্ত পেতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তৌহিদুল হক চৌধুরী এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমনের সহযোগিতা কামনা করেন।

উপজেলা ও বনবিভাগ সূত্রের জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা সাবেক ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ বদলির আগে বন্যহাতি তান্ডবের ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইন তদন্ত করার নামে আটকে রেখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগে ত্তিতিতে বদলি আগে ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ কাছে বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইন বিষয়ের জানলে চাইলে তিনি জানান,নতুন ইউএনও ফাইনগুলো তদন্ত করে স্বাক্ষর করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ বন্যহাতি তান্ডব যেন “আমাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা”। অর্থ্যাৎ বন্যহাতি আমাদের ফসলি জমিন,ঘরবাড়ি তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করতেছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়া আশা থানায় অভিযোগ করছি। পুলিশ তদন্ত করে আমাদের একটা ফাইন দিয়েছে।সেই ফাইলে ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নেওয়া হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবারয় আহমেদ আমার সকল ক্ষতিপূরণে সকল ফাইন আটকে রেখে দিয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার আশায় ধারদেনাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ দিয়ে বসতবাড়ি তান্ডবের স্থান গুলো কাজ করতেছি। এখন ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে সুচিন্তা আছি।কিভাবে এনজিও এবং লোকজনের কাছ থেকে নেওয়া ধারদেনা গুলো পরিশোধ করবো।

বন্যহাতি তান্ডব ক্ষতিপূরণ পাওয়া প্রথম বাঁধা হচ্ছে বনবিভাগ।আনোয়ারা উপজেলায় বনবিভাগ কোন শাখা না থাকার আমরা ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাঁধা সম্মুখীনের শিকার হচ্ছি।আমাদেরকে প্রতিটি ধাপে বাপে হয়রানি থেকে একমাত্র রক্ষা করতে পারবে। আমাদের ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জান চৌধুরী জাবেদ এমপি। আমাদের ভূমিমন্ত্রী চাইলে বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ কথা চিন্তা উপজেলা অস্থায়ী বনবিভাগে শাখা গঠন করার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানি থেকে মুক্ত করার আবেদন জানাচ্ছি।

উপজেলায় বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইল আটকে থাকার বিষয়ের জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন জানান, কোন ফাইল আটকে নেই।সব ফাইলগুলো আমরা রেঞ্জ অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ফাইল গুলোতে স্বাক্ষর হয়ে গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি জানি না। তিনি আরো জানান রেঞ্জ অফিসে সরেজমিনে তদন্ত করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করবে।কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন গুলো বরাবর রেঞ্জ অফিসে কাছে উপজেলায় আটকে থাকবে কেনো? আটকে থাকার কোন সুযোগ নেই। ক্ষতিগ্রস্তরা রেঞ্জ অফিসারের বরাবর আবেদন করবে। রেঞ্জ অফিসার তদন্ত করে যখন ঠিক আছে বলবে তখন আমরা কমিটির মিটিং ডেকে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়ে পাঠাবো তাদের অতিরিক্ত ওয়ার্ডেন তার কাছে।তারপর ওনি তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের জন্য পাঠাবে। আগে এগুলো ভুল পেস্টিস ছিল। এগুলো আমরা ঠিক করে দিয়েছি। এই বারে করার কোন সুযোগ নেই।ফাইল গুলো আমাদের কাছে আসার ও কথা না।যেহেতু এসে আমরা ফাইন গুলো পাঠিয়ে দিয়েছি।যারা আবেদনের নিয়ে আমাদের কাছে আসতেছে।তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি রেঞ্জ অফিসারের কাছে আবেদন করার জন্য।

বন্যহাতির ক্ষতিগ্রস্তদের তদন্ত ফাইলের বিষয়ে জানতে বাঁশখালী জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জান মোবাইল নাম্বারের একাধিক বার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

আনোয়ারায় বন্যহাতি ক্ষতিপূরণ মিলবে কবে, চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্তরা

প্রকাশিত : ০১:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকায় ( “বন্যহাতির আক্রমণে হারাচ্ছে নিরীহ প্রান বন্যহাতি নিয়ে রমরমা সিন্ডিকেট ব্যবসা সাথে জড়িত প্রশাসন ও বনবিভাগ”) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলা বন্যহাতি আক্রমণের ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ফাইলের স্বাক্ষর আটকে রাখেন আনোয়ারা উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের শেখ জোবারয় আহমেদ।

জানা যায়, ১০ বছর যাবৎ দেয়াং পাহাড়ের অবস্থান করা বন্যহাতি দলটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় হলে লোকালয়ে নেমে তান্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে।স্থানীয়দের দাবি আরো কতোজন মানুষ নিহত আর আহত হলে বনবিভাগ এবং প্রশাসন বন্যহাতির সারানো জন্য উদ্যােগ গ্রহণ করবে।

অনুসন্ধান জানা যায়,পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করার পর আনোয়ারা সাবেক ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইলের স্বাক্ষর আটকে রেখে সরেজমিনে তদন্ত করে স্বাক্ষর করবে বলে জানান। একটি চক্রু ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আর দেওয়া হবে না বলে এলাকায় নানা মিথ্যা তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুশীল সমাজের নাগরিকগণ এই বিভ্রান্ত থেকে মুক্ত পেতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তৌহিদুল হক চৌধুরী এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমনের সহযোগিতা কামনা করেন।

উপজেলা ও বনবিভাগ সূত্রের জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা সাবেক ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ বদলির আগে বন্যহাতি তান্ডবের ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইন তদন্ত করার নামে আটকে রেখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগে ত্তিতিতে বদলি আগে ইউএনও শেখ জোবারয় আহমেদ কাছে বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইন বিষয়ের জানলে চাইলে তিনি জানান,নতুন ইউএনও ফাইনগুলো তদন্ত করে স্বাক্ষর করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ বন্যহাতি তান্ডব যেন “আমাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা”। অর্থ্যাৎ বন্যহাতি আমাদের ফসলি জমিন,ঘরবাড়ি তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করতেছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়া আশা থানায় অভিযোগ করছি। পুলিশ তদন্ত করে আমাদের একটা ফাইন দিয়েছে।সেই ফাইলে ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নেওয়া হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবারয় আহমেদ আমার সকল ক্ষতিপূরণে সকল ফাইন আটকে রেখে দিয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার আশায় ধারদেনাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ দিয়ে বসতবাড়ি তান্ডবের স্থান গুলো কাজ করতেছি। এখন ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে সুচিন্তা আছি।কিভাবে এনজিও এবং লোকজনের কাছ থেকে নেওয়া ধারদেনা গুলো পরিশোধ করবো।

বন্যহাতি তান্ডব ক্ষতিপূরণ পাওয়া প্রথম বাঁধা হচ্ছে বনবিভাগ।আনোয়ারা উপজেলায় বনবিভাগ কোন শাখা না থাকার আমরা ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাঁধা সম্মুখীনের শিকার হচ্ছি।আমাদেরকে প্রতিটি ধাপে বাপে হয়রানি থেকে একমাত্র রক্ষা করতে পারবে। আমাদের ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জান চৌধুরী জাবেদ এমপি। আমাদের ভূমিমন্ত্রী চাইলে বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ কথা চিন্তা উপজেলা অস্থায়ী বনবিভাগে শাখা গঠন করার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানি থেকে মুক্ত করার আবেদন জানাচ্ছি।

উপজেলায় বন্যহাতি ক্ষতিগ্রস্তদের ফাইল আটকে থাকার বিষয়ের জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন জানান, কোন ফাইল আটকে নেই।সব ফাইলগুলো আমরা রেঞ্জ অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ফাইল গুলোতে স্বাক্ষর হয়ে গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি জানি না। তিনি আরো জানান রেঞ্জ অফিসে সরেজমিনে তদন্ত করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করবে।কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন গুলো বরাবর রেঞ্জ অফিসে কাছে উপজেলায় আটকে থাকবে কেনো? আটকে থাকার কোন সুযোগ নেই। ক্ষতিগ্রস্তরা রেঞ্জ অফিসারের বরাবর আবেদন করবে। রেঞ্জ অফিসার তদন্ত করে যখন ঠিক আছে বলবে তখন আমরা কমিটির মিটিং ডেকে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়ে পাঠাবো তাদের অতিরিক্ত ওয়ার্ডেন তার কাছে।তারপর ওনি তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের জন্য পাঠাবে। আগে এগুলো ভুল পেস্টিস ছিল। এগুলো আমরা ঠিক করে দিয়েছি। এই বারে করার কোন সুযোগ নেই।ফাইল গুলো আমাদের কাছে আসার ও কথা না।যেহেতু এসে আমরা ফাইন গুলো পাঠিয়ে দিয়েছি।যারা আবেদনের নিয়ে আমাদের কাছে আসতেছে।তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি রেঞ্জ অফিসারের কাছে আবেদন করার জন্য।

বন্যহাতির ক্ষতিগ্রস্তদের তদন্ত ফাইলের বিষয়ে জানতে বাঁশখালী জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জান মোবাইল নাম্বারের একাধিক বার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব