০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিত উন্নয়নে বিশ্বাস করতেন: ড. কাজী খালীকুজ্জামান

বঙ্গবন্ধু একদিনে বঙ্গবন্ধু হয়নি। তিনি দির্ঘদিন মানুষের জন্য চিন্তা করেছে, মানুষের কষ্ট লাঘবের চিন্তায় কাজ করে নিজেকে আস্থাভাজন হিসেবে তৈরী করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় পরিকল্পিত উন্নয়নে বিশ্বাস করতেন।

দেশ যখন একসময় তলাবিহীন ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশের জন্য কাজ করে দেশকে আবার নতুন রুপ দিয়েছিলেন। এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

রবিবার বিকাল ৩ টায় “ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)” এর ম্যানেজমেন্ট অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী খালীকুজ্জামান আহমদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণে জর্জরিত এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করে। অত্যন্ত নাজুক বাস্তবতা থেকে। সেই চরম দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের পথ ধরে এগোতে হয় দেশটিকে।
বিপর্যস্ত গোটা অর্থনীতি-কৃষি, শিল্প, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সেবাসহ সব খাত; বিধ্বস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা- মুক্তিযুদ্ধের সময় বিনষ্ট করা রাস্তাাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ফেরি; অগোছালো নৌ পরিবহন ব্যবস্থা; মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক অবকাঠামো-উৎপাদন কেন্দ্র, গ্রিড লাইন, সঞ্চালন লাইন, সাবস্টেশন; অকার্যকর অবস্থা থেকে টেনে তোলা হয়েছে।

ড. কাজী খালীকুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা (নীতিনির্ধারণী, বিচারিক, প্রশাসনিক) এবং আর্থিক (ব্যাংক, বীমা) প্রতিষ্ঠানসমূহঃ বিশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা; সবক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব; সীমিত কর্মসংস্থান এবং ব্যাপক বেকারত্বং কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা; ৮০ শতাংশের অধিক দারিদ্র্যহার, যাদের মধ্যে ছিলেন চরম দুর্ভোগে নিপতিত ভারত ফেরত (যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন) প্রায় এক কোটি মানুষ। ঘাতকরা বুঝতে পারেনি যে, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। সে কথা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চ ১৯৭১-এর ভাষণে এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিল। ‘সাত কোটি মানুষকে দবিয়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর সেই উচ্চারণ যে যথার্থ ছিল তা আজ সর্বজনবিদিত। যারা এ দেশটির আবির্ভাবের পর বাংলাদেশ সম্বন্ধে ঐ সকল চরম নেতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তারা যে সম্যক ভুল ছিলেন তা এখন যথার্থই প্রমাণিত।

ড. কাজী খালীকুজ্জামান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত আমাদের ৫টি লক্ষ্য রয়েছে দেশে ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কল্যাণ রষ্ট্র’ গড়ে তোলা। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশে রূপান্তর, ১৯৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত থেকে উত্তরণ এবং একই সাথে পুনর্জাগরণ প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান। ২০২১-২২-এর তুলনায় ২০২২-২৩ সালে কিছুটা দুর্বল অর্জন প্রাক্কলন করা হচ্ছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক যথা মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মদ্রা তহবিলে স্থিতির ক্ষেত্রে। ২০২২-২৩ সালের বাজেটে বছরটিতে জাতীয় উৎপাদে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়। ৭ দশমিক ৫ শতাংশ

বিশ্ব অর্থনীতিতে যতদিন নিম্নমুখী প্রবণতা এবং অস্থিরতা বিরাজ করবে তা বাংলাদেশসহ সব দেশের ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণের পথে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে। অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগোতে হবে। আর সেজন্য সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে যে বাস্তবতা সামনে আসুক তা মূল্যায়ন করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএস এফ) সম্মানিত বিওজি, এ. কে. এম. নুরুল ফজল বুলবুল, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) সভাপতি অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিত উন্নয়নে বিশ্বাস করতেন: ড. কাজী খালীকুজ্জামান

প্রকাশিত : ০৮:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

বঙ্গবন্ধু একদিনে বঙ্গবন্ধু হয়নি। তিনি দির্ঘদিন মানুষের জন্য চিন্তা করেছে, মানুষের কষ্ট লাঘবের চিন্তায় কাজ করে নিজেকে আস্থাভাজন হিসেবে তৈরী করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় পরিকল্পিত উন্নয়নে বিশ্বাস করতেন।

দেশ যখন একসময় তলাবিহীন ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশের জন্য কাজ করে দেশকে আবার নতুন রুপ দিয়েছিলেন। এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

রবিবার বিকাল ৩ টায় “ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)” এর ম্যানেজমেন্ট অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী খালীকুজ্জামান আহমদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণে জর্জরিত এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করে। অত্যন্ত নাজুক বাস্তবতা থেকে। সেই চরম দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের পথ ধরে এগোতে হয় দেশটিকে।
বিপর্যস্ত গোটা অর্থনীতি-কৃষি, শিল্প, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সেবাসহ সব খাত; বিধ্বস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা- মুক্তিযুদ্ধের সময় বিনষ্ট করা রাস্তাাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ফেরি; অগোছালো নৌ পরিবহন ব্যবস্থা; মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক অবকাঠামো-উৎপাদন কেন্দ্র, গ্রিড লাইন, সঞ্চালন লাইন, সাবস্টেশন; অকার্যকর অবস্থা থেকে টেনে তোলা হয়েছে।

ড. কাজী খালীকুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা (নীতিনির্ধারণী, বিচারিক, প্রশাসনিক) এবং আর্থিক (ব্যাংক, বীমা) প্রতিষ্ঠানসমূহঃ বিশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা; সবক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব; সীমিত কর্মসংস্থান এবং ব্যাপক বেকারত্বং কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা; ৮০ শতাংশের অধিক দারিদ্র্যহার, যাদের মধ্যে ছিলেন চরম দুর্ভোগে নিপতিত ভারত ফেরত (যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন) প্রায় এক কোটি মানুষ। ঘাতকরা বুঝতে পারেনি যে, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। সে কথা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চ ১৯৭১-এর ভাষণে এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিল। ‘সাত কোটি মানুষকে দবিয়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর সেই উচ্চারণ যে যথার্থ ছিল তা আজ সর্বজনবিদিত। যারা এ দেশটির আবির্ভাবের পর বাংলাদেশ সম্বন্ধে ঐ সকল চরম নেতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তারা যে সম্যক ভুল ছিলেন তা এখন যথার্থই প্রমাণিত।

ড. কাজী খালীকুজ্জামান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত আমাদের ৫টি লক্ষ্য রয়েছে দেশে ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কল্যাণ রষ্ট্র’ গড়ে তোলা। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশে রূপান্তর, ১৯৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত থেকে উত্তরণ এবং একই সাথে পুনর্জাগরণ প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান। ২০২১-২২-এর তুলনায় ২০২২-২৩ সালে কিছুটা দুর্বল অর্জন প্রাক্কলন করা হচ্ছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক যথা মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মদ্রা তহবিলে স্থিতির ক্ষেত্রে। ২০২২-২৩ সালের বাজেটে বছরটিতে জাতীয় উৎপাদে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়। ৭ দশমিক ৫ শতাংশ

বিশ্ব অর্থনীতিতে যতদিন নিম্নমুখী প্রবণতা এবং অস্থিরতা বিরাজ করবে তা বাংলাদেশসহ সব দেশের ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণের পথে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে। অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগোতে হবে। আর সেজন্য সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে যে বাস্তবতা সামনে আসুক তা মূল্যায়ন করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএস এফ) সম্মানিত বিওজি, এ. কে. এম. নুরুল ফজল বুলবুল, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) সভাপতি অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।