দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পেছনে যেসব মজুদদারদের হাত রয়েছে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না সে হোক সাধারণ কোনো ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট কোম্পানি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃন্দ, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধি সকলে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে যাতে শীঘ্রই দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) নওগাঁর জেলা প্রশাসন সভাকক্ষে নওগাঁর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটা দিনের ব্যবধানে কে কোন মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাবে এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে মাঠ পর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
শুধু বিভিন্ন মজুদদার ও কর্পোরেট কোম্পানি নয় প্রয়োজনে খুচরা বাজারেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা প্রত্যেকটি জায়গায় দ্রব্যমূল্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন খুচরা বাজারে কেন তারা পাঁচ টাকা দশ টাকা বেশি লাভে বিক্রয় করবে তাই খুচরা বাজারেও নজরদারি বারাতে হবে।
যত ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট কোম্পানি হোক না কেন আমাকে জানাবেন ১২ ঘণ্টার ভেতরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে আমি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিব বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
কৃষিতে সেচ কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সংকট যেন না হয় সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে তিনি সার নিয়ে যাতে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট না হয় সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে বলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি