সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বাঁশের মাচাল বানানোকে কেন্দ্র করে আজমির হোসেন ওরফে বিপুল সরকার (৩৫) নামে এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে শাহজাদপুর পৌর শহরের রামবাড়ি মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে।নিহত বিপুল সরকার শাহজাদপুর পৌর সদরের রামবাড়ি এলাকার মৃত মাজেদ সরকারের ছেলে।বিপুলের দুই ছেলেসহ তিন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে আহত অবস্থায় বিপুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত জেলার পার্শ্ববর্তী এনায়েতপুরে বেসরকারি খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার পর তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাতেই শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে অভিযুক্তরা এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
বিপুলের বড় ভাই নুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় মোকছেদ আলী বগা মেম্বারের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন, রুবেল, কাউসার, তরিকুল ও মফিজসহ এলাকার ২৫-৩০ জন মাদককারবারি ও ইয়াবা সেবনের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় রাতে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের আড্ডাবাজি বন্ধ করতে পাহারা দেওয়ার জন্য এলাকায় বাঁশের মাচাল তৈরির চেষ্টা করে।এতে বাধা দেয় ওই যুবকরা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ী বিপুলকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিপুল মারা যায়।
শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আল মাহমুদ জানান, এলাকায় কথিত সন্ত্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় যুবক আছে, যারা প্রকাশ্যে মাদক কেনাবেচা ও সেবন করে। তারা একটি তাজা প্রাণকে পিটিয়ে এভাবে হত্যা করে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার চাই।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু-একজনকে থানায় আনা হয়েছে। বিপুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ভিকটিমের পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
ডিএস./