চাহিদার তুলনায় ১লাখ ৭৩ হাজার মেঃটন পেঁয়াজ বেশী উৎপাদন হলেও কুষ্টিয়ার বাজারে এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের মুল্য দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। যে পেঁয়াজ রমজান মাসে বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজী ঐ পেঁয়াজ এখন বাজারে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দাম বেড়ে যাওয়াকে দোষছেন অসাধু মজুদদারদেরকে।
এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ চাষীদের কাছ থেকে স্বল্প দামে পেঁয়াজ কিনে গোপনে গুদামজাত করছে। এর পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষীরাও তাদের রোপনকৃত পেঁয়াজের কিছুটা বাজারে বিক্রি করলেও সিংহভাগ পেঁয়াজ স্বস্ব চাষীরা অধিক লাভের আশায় বাড়ীতেই মজুদ করে রাখছে। যে কারনেই পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে না থাকায় দেশী পেঁয়াজের ঝাঁজ দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে।
পেঁয়াজ চাষীরা বলেন, এবারও পেঁয়াজ ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হবে। আর সে আশাই পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি না করে বাড়ীতে মজুদ রাখা হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পেঁয়াজ মজুদের হিরিক পরে গেছে।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেশী। প্রতিদিনই ২/৪ শ টাকা মন প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে পেঁয়াজ কিনে গুদামজাত করায় চাষীরা বাজারে তেমন পেঁয়াজ আনতে পারছে না। আবার কৃষকের কাছ থেকে যারা সরাসরি পেঁয়াজ কিনছেন তারাও বাজারে পেঁয়াজ আনছে না। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কদম আলী বলেন, পুরানো সিন্ডিকেট অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই অবৈধ চক্রটি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিরতা শুরু করেছে। জুলাই আগষ্টে পেঁয়াজের মূল্য বর্তমান মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন করার আশায় বুক বাধছে। এরই অংশ হিসেবে তারা ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করে রাখছে। এদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বেশী দামে পেঁয়াজ কিনে বেশী দামেই বিক্রি করছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, তারা প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করছে। কারা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে তা যাচাই করতে তদারকীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিএস./