শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কসবা মোল্লাপাড়া মহল্লায় ১ মে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গোষ্ঠীর লোকজনকে ফাঁসাতে ৪ মে বোরবার লাকী তালুকদার বাদী হয়ে ১৭ জনকে চিহ্নিত ও আরো ১০/১৫ কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সদর থানায় হয়রানীমূলক একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মোল্লাপাড়া মহল্লার মৃত মজিবর রহমান তালুকদারের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন তালুকদার গংদের সাথে একই গোষ্ঠীর আলমাছ তালুকদার ওরফে ইদু ও তার স্ত্রী লাকী সাথে ৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এদিকে মৃত মজিবর রহমান তালুকদারের ছেলে ব্র্যাকে কর্মরত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন তালুকদার তার পৈত্রিক সূত্রে ও তার বাবার কাছে ক্রয়কৃত ১০ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমিতে বাড়ি করার জন্য সয়েল টেস্ট করে প্রস্তুতি নেয়ার সময় তার চাচাতো ভাই আলমাছ তালুকদার ওরফে ইদু স্ত্রী লাকী তালুকদারসহ অন্যান্যরা লাঠিসোটা নিয়ে আলমগীর হোসেন তালুকদার গংদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় আলমগীর হোসেন তালুকদারের ছোট ভাই আমীর হোসেন তালুকদারকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আলমাছ তালুকদার ও তার স্ত্রী লাকী গংরা সন্ত্রাসী হামলা করেও ক্ষান্ত থাকেনি। এঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে আলমাছ তালুকদার ওরফে ইদু ও তার স্ত্রী নিজেদের বশতবাড়ী ঘর রাতের আধারে ভাংচুর করে ঢাকার গাজীপুুরে ব্র্যাকে কর্মরত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন তালুকদারকে ২নং আসামী ও তার চাচাতো ছোট ভাই আমীর হোসেন তালুকদার এবং আরেক ভাই দিনাজপুর জেলায় পেট্রো বাংলায় কর্মরত সহকারি প্রকৌশলী হিমেল মিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে বলে এমনটাই অভিযোগ ওই ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। এছাড়াও আলমগীর হোসেন তালুকদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আনিকা তালুকদারকেও মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে।
অপরদিকে জানা যায়, আলমগীর হোসেন তালুকদার দলিল ও খারিজ মূলে ১০ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ভোগদখলে রয়েছেন এবং ৩ শতক জমি নিয়ে বিচারাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, একই গোষ্ঠীর আলমাছ তালুকদার গংদের সাথে আলমগীর হোসেন তালুকদারের মিমাংসা করতে পৌর শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বেশ কয়েক দফা শালিস বৈঠক হয়েছে। এর পরেও আলমাছ তালুকদার ওরফে ইদু ও তার স্ত্রী লাকী তালুকদার বার বার হয়রানী করতে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের অভিযোগ। সদর থানায় লাকী তালুকদারের দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গণ্য করা হলেও জখমী আমীর হোসেন তালুকদারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে এফআইআর করা হয়নি।
এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগী আমীর হোসেন তালুকদার গংরা সদর থানার অফিসার ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
ডিএস./