কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে ভুট্টার চাষ করেছে এখানকার চাষিরা। এবছর ৪ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ভুট্টা। কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে এবছর উপজেলায় প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে এর মধ্যে উপজেলাটির পদ্মার চরে উৎপাদন হয়েছে অন্তত ৭৫ কোটি টাকার ভূট্টা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ভুট্টা যা গত বছর হয়েছিল ৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপজেলার পদ্মার চরের চার ইউনিয়নে ভূট্টা চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে।
এতে উপজেলায় ভূট্টা উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার মেট্রিকটন। এর মধ্যে পদ্মার চরের ফিলিপনগর, মরিচা, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারিতে উৎপাদন হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিকটন ভূট্টা।
কৃষকরা বলছে অনুকূল আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনুপস্থিতিতে ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে দামও পেয়েছেন ভালো যা তাদের লাভবান করেছে।
কৃষক ওবায়দুল ইসলাম জানান, “আমার দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা ছিল। ফলন খুব ভালো হয়েছে, আর বাজার দরও ভালো থাকায় ভালো দাম পেয়েছি।”
আরেক কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “অনুকূল আবহাওয়া এবং কোনো বড় ধরনের দুর্যোগ না থাকায় এবার ফসলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও কিটনাশক ও সারের দাম কিছুটা বেশি ছিল, তবে ফলন ভালো হওয়ায় আমরা খুশি।”
ভুট্টার ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পাইকারি বাজারগুলোতে ব্যাপকভাবে ভুট্টার আমদানি হয়েছে। হোসেনাবাদ বাজার থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮টি ট্রাকভর্তি ভুট্টা দেশের বিভিন্ন গো-খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
হোসেনাবাদ বাজারের “নাড়ু এন্ড ব্রাদার্স” আড়তের স্বত্বাধিকারী জানান, “এবার কৃষক পর্যায় থেকে ব্যাপকভাবে ভুট্টা আমদানি হয়েছে, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। শুকনো ভুট্টার দাম কেজিতে ২৮ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে, আর কাঁচা ভুট্টার দাম কিছুটা কম।”
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ফলন ও দাম দুটোই ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।”
ডিএস./