০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কেজিতে ৯ টাকা কমলো ডিএপি সার

ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব ডিএপির ব্যবহার বাড়াতে খুচরা পর্যায়ে দাম প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।প্রতি কেজি ডায়-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ লাঘবের উদেশ্যে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করলে তিনি সারের দাম কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদ দেন। যা বিজয়ের মাসে সরকারের এ পদক্ষেপ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মোতাবেক সব পর্যায়ে (অর্থাৎ ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে) ডিএপি সারের দাম প্রতিকেজি ৯ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারের। প্রতি বছর সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।

আবদুল রাজ্জাক বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডিএপি সারের মূল্য পুনরায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় নন-ইউরিয়া সারের মূল্য অস্বাভাবিক বেশি থাকায় কৃষকের পক্ষে সার ব্যবহার করে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার দফায় দফায় কমিয়েছে।

২০০৯ সালে টিএসপি সারের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ২০১৪ সালে এটি কমিয়ে ২২ টাকা করা হয়। ২০০৯ সালে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের দাম ছিলো ৭০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এছাড়া ২০০৯ সালে ডিএপি সারের দাম ছিলো ৯০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ২৫ টাকা করা হয়। চলতি মৌসুমের এ ডিসেম্বরে খুব শিগগির ডিএপি সারের দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটির সব ধরনের অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন শুধু সার্কুলার জারি করা বাকি।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

কেজিতে ৯ টাকা কমলো ডিএপি সার

প্রকাশিত : ০৫:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব ডিএপির ব্যবহার বাড়াতে খুচরা পর্যায়ে দাম প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।প্রতি কেজি ডায়-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ লাঘবের উদেশ্যে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করলে তিনি সারের দাম কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদ দেন। যা বিজয়ের মাসে সরকারের এ পদক্ষেপ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মোতাবেক সব পর্যায়ে (অর্থাৎ ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে) ডিএপি সারের দাম প্রতিকেজি ৯ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারের। প্রতি বছর সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।

আবদুল রাজ্জাক বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডিএপি সারের মূল্য পুনরায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় নন-ইউরিয়া সারের মূল্য অস্বাভাবিক বেশি থাকায় কৃষকের পক্ষে সার ব্যবহার করে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার দফায় দফায় কমিয়েছে।

২০০৯ সালে টিএসপি সারের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ২০১৪ সালে এটি কমিয়ে ২২ টাকা করা হয়। ২০০৯ সালে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের দাম ছিলো ৭০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এছাড়া ২০০৯ সালে ডিএপি সারের দাম ছিলো ৯০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ২৫ টাকা করা হয়। চলতি মৌসুমের এ ডিসেম্বরে খুব শিগগির ডিএপি সারের দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটির সব ধরনের অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন শুধু সার্কুলার জারি করা বাকি।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান