১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘পোস্টার বয়’কে ? এমন প্রশ্ন করা হলে নির্দ্বিধায় চলে আসবে সাকিব আল হাসানের নাম। কেননা তিনি যে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। আজ (২৪ মার্চ) টাইগারদের কীর্তিমান এ ক্রিকেটারের জন্মদিন। ৩৩ বছরে পা রাখলেন তারকা এ অলরাউন্ডার।

১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সাকিব। বাবা মাশরুর রেজা ফুটবলের ভক্ত হলেও ছেলে বড় হতে থাকেন ব্যাট-বল নিয়ে। মাগুরার স্থানীয় একটি ক্লাবে খেলে ক্রিকেটটা রপ্ত করতে থাকেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দ্রুতই সমবয়সীদের ছাড়িয়ে যেতে থাকেন এই ক্রিকেটার। ক্রিকেটের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে বাবা তাকে ভর্তি করে দেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)।

পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দ্যুতিময় পারফরম্যান্সই সাকিবকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের।

২০০৯ সালে একমাত্র বাংলাদেশি অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন। এরপর টেস্টেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন বিভাগের সেরা অলরাউন্ডার হন এই ক্রিকেটার।

ওয়ানডে অভিষেকের পরের বছরই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের। আর ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি।

সাবিক তার পারফরম্যান্সের প্রামাণ দিয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে শুরু করে প্রতিটি টুর্নামেন্টে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে এ যুগের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগেও দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। খেলেছেন বিশ্বের প্রায় সবগুলো লিগে।

এখন পর্যন্ত ৫৬ টেস্টর ১০৫ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ৩৯.৪০ গড়ে ৩৮৬২ রান করেছেন। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফসেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭। সমান টেস্টে ৯৫ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ২১০টি উইকেট। যেখানে বোলিং গড় ৩১.১২ ও ইকোনোমি ৩.০১। ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। আর ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮ বার।এক ম্যাচে তার সেরা বোলিং ফিগার ১২৪ রানে ১০ উইকেট। আর এক ইনিংসে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।

ওয়ানডেতে সাকিবের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ। ২০৬ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন ১৯৪বার। যেখানে ৩৭.৮৬ গড়ে করেছেন ৬৩২৩ রান। রয়েছে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি। এক ম্যাচে তার সেরা ১৩৪ (অপরাজিত)। আর ২০৩ ইনিংসে বল করে ৩০.২১ গড় ও ৪.৪৮ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৬০টি উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রানে ৫ উইকেট।

৭৬টি টি-২০ খেলে ১২৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫৬৭ রান। রয়েছে ৯টি হাফসেঞ্চুরি। আর ৭৫ ইনিংসে বল ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৯২ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৮১। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত : ০৭:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘পোস্টার বয়’কে ? এমন প্রশ্ন করা হলে নির্দ্বিধায় চলে আসবে সাকিব আল হাসানের নাম। কেননা তিনি যে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। আজ (২৪ মার্চ) টাইগারদের কীর্তিমান এ ক্রিকেটারের জন্মদিন। ৩৩ বছরে পা রাখলেন তারকা এ অলরাউন্ডার।

১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সাকিব। বাবা মাশরুর রেজা ফুটবলের ভক্ত হলেও ছেলে বড় হতে থাকেন ব্যাট-বল নিয়ে। মাগুরার স্থানীয় একটি ক্লাবে খেলে ক্রিকেটটা রপ্ত করতে থাকেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দ্রুতই সমবয়সীদের ছাড়িয়ে যেতে থাকেন এই ক্রিকেটার। ক্রিকেটের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে বাবা তাকে ভর্তি করে দেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)।

পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দ্যুতিময় পারফরম্যান্সই সাকিবকে নিয়ে আসে পাদপ্রদীপের আলোয়। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের।

২০০৯ সালে একমাত্র বাংলাদেশি অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন। এরপর টেস্টেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন বিভাগের সেরা অলরাউন্ডার হন এই ক্রিকেটার।

ওয়ানডে অভিষেকের পরের বছরই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের। আর ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি।

সাবিক তার পারফরম্যান্সের প্রামাণ দিয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে শুরু করে প্রতিটি টুর্নামেন্টে। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে এ যুগের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগেও দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। খেলেছেন বিশ্বের প্রায় সবগুলো লিগে।

এখন পর্যন্ত ৫৬ টেস্টর ১০৫ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ৩৯.৪০ গড়ে ৩৮৬২ রান করেছেন। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফসেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭। সমান টেস্টে ৯৫ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ২১০টি উইকেট। যেখানে বোলিং গড় ৩১.১২ ও ইকোনোমি ৩.০১। ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। আর ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮ বার।এক ম্যাচে তার সেরা বোলিং ফিগার ১২৪ রানে ১০ উইকেট। আর এক ইনিংসে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।

ওয়ানডেতে সাকিবের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ। ২০৬ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন ১৯৪বার। যেখানে ৩৭.৮৬ গড়ে করেছেন ৬৩২৩ রান। রয়েছে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি। এক ম্যাচে তার সেরা ১৩৪ (অপরাজিত)। আর ২০৩ ইনিংসে বল করে ৩০.২১ গড় ও ৪.৪৮ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৬০টি উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রানে ৫ উইকেট।

৭৬টি টি-২০ খেলে ১২৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫৬৭ রান। রয়েছে ৯টি হাফসেঞ্চুরি। আর ৭৫ ইনিংসে বল ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৯২ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৮১। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ