চন্দনাইশে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে জের ধরে চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ হারালার কৃষকরা আজ ১২ মে সকালে বরুমতি খালের পাড় এলাকায় মিলিত হয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। দক্ষিণ হারালা এলাকার সাবেক মেম্বার মো.আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দক্ষিণ হারালা সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি মো. জাহেদুল ইসলাম জাহি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো গোফরানুল হাসিব, সরুজ বাঙ্গালী, আহমদ শফী, নজরুল ইসলাম, আবদুল হক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য জাহেদুল ইসলাম জাহি উল্লেখ করেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরুমতি খাল খননের পর বরুমতি খালের শেষ প্রান্তে বরমা অংশে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। সেদিন প্রধান অতিথির বক্তব্যের এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত কৃষকরা এমপি মহোদয়কে কয়েকটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়ার দাবী জানান।
তারা বলেন, ‘‘আপনি খাল খনন করে দেওয়ায় আমাদের কৃষকদের অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ আপনাকে করে দিতে হবে। এমপি মহোদয় তখন খাল পারাপারের জন্য কৃষকের দাবী বাস্তবায়নে ৪টি ব্রীজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২টি ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হয়। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আরেকটি ব্রীজ বরাদ্দ হয়।
২০২০ সালে শুরুর দিকে ব্রীজের কাজ শুরু হয় যার সংযোগ সড়ক ছাড়া বাকী কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে পূর্বেও ২টি ব্রীজ নিমার্ণ হওয়ার পর স্থানীয় একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। তখন এলাকার কৃষকেরা তৎক্ষনাৎ এই খবরের প্রতিবাদ জানান। বর্তমান সময়ে নতুন ব্রীজটি নিমার্ণাধীন অবস্থায় আবারও সেই পত্রিকায় আরোকটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
উক্ত সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে এলাকার গরীব কৃষকরা ও এলাকার জনসাধারণ সে সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন বর্তমানে দিঘির বিল চন্দনাইশের মধ্যে সবচেয়ে বড় চলনবিল হিসেবে খ্যাত।
উক্ত বিল হতে চাষাবাদের মাধ্যমে হারালা, বরমা, সূচিয়া, সাতবাড়ীয়া, বরকল, সাত ভাইয়ের পাড়া, মাইগাতা, যতরকূল এলাকার প্রায় ২৫ হাজার কৃষক জীবিকা নির্বাহ করে।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত গাছবাড়ীয়া-বরকল আঞ্চলিক সড়ক (শহীদ মুরিদুল আলম সড়ক) এর সাথে যোগাযোগের জন্য ব্রীজের প্রয়োজন ছিল যা বর্তমান মাননীয় এমপি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করেন পাহাড়ী ঢলের পানি দ্রুত নিস্কাশন ও চাষাবাদের সুবিধার্থে আরো কয়েকটি ব্রীজ প্রয়োজন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে তাদের দাবীর কথাগুলো প্রকাশিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে আশা করি এলাকার উন্নয়নের ধারা আরো বেগবান হবে।


























