মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় রাস্তার পাশের পতিত জমিতে শাক-সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এ উদ্যোগে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। এতে যেমন অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে উপজেলার বালুয়াকান্দি, ভবেরচর, বাউশিয়া ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের প্রায় সব কাঁচা ও পাকা সড়কের দুই পাশে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ হয়েছে। বিশেষ করে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া আড়ালিয়া এলাকা, বড় রায়পাড়া থেকে মুদারকান্দি সড়ক, ভবেরচর ইউনিয়নের পৈকৈরপাড় এবং গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় সড়কসংলগ্ন পতিত জমিতে শিম, বেগুন, পুঁইশাক, টমেটো, লাউসহ নানা জাতের মৌসুমি সবজির আবাদ চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, রাস্তার পাশের এসব জমি সাধারণত ঢালু হওয়ায় পানি জমে থাকে না। ফলে অল্প পরিচর্যাতেই সারা বছর সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। এসব জমি থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়ে প্রথমে পরিবারের প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে, এরপর অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে।
একাধিক কৃষক বলেন, বর্তমানে বাজারে শাক-সবজির দাম ভালো থাকায় খুব কম খরচে চাষ করেও প্রতিটি পরিবার মৌসুমভেদে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আয় করতে পারছে। এতে তাদের জীবনযাত্রার মানেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে সবজি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ির আশপাশের এক টুকরো জমিও যেন অনাবাদি না থাকে—সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষাণ-কৃষাণীদের।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন সিদ্দিক বলেন, “দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে শাক-সবজির উৎপাদন বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। সে লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ করছি। গজারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে কৃষকেরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন এটি কৃষি ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দৃষ্টান্ত।
ডিএস./





















